ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালথায় অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

চৌধুরী মাহমুদ আশরাফ টুটু , সালথা (ফরিদপুর)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফরিদপুরের সালথার নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) বেলা ১১টায় এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এসময় শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।

আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমান বিভিন্ন সময়ে অনেক অনিয়ম করেছে, বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমরা আন্দোলন করতে গেলে আমাদের আন্দোলন করতে নিষেধ করে। এছাড়াও আমাদের কয়েকজনের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে আন্দোলনে না যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। অনেক সময় আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।

এসময় কলেজের পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি, সাধারণ শিক্ষক, অভিভাবক সদস্য, সাধারণ অভিভাবক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে তাদের কোন অভিযোগ নেই বলে জানায়।

নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, যারা আন্দোলন করছে তাদের বেশিরভাগই অছাত্র। মুলত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজী আমাদের কাছে ১লাখ ৭০হাজার টাকার একটি ভূয়া বিল দেয় আমি সেটাতে সাক্ষর না করার জন্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। তার কাছে দোকানভাড়া বাবদ বেশ কিছু টাকা পাওয়া যাবে, এই টাকা আদায়ের জন্য নোটিশ করলে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং তার কয়েকজন ভাই-ভাতিজা ও বহিরাগত দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। কামরুল গাজী পার্শ্ববর্তী রুপপাত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে এখন এই কলেজ টা ধরছে।

তিনি আরও বলেন, শেষ সময়ে দুদকের পরিচালক প্রনব কুমার ভট্টাচার্য ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন তারা নিয়মিত তদারকি করেছেন। আরও তদন্ত হোক আমি কোন অনিয়ম করলে যে ব্যবস্থা নেয় আমি মাথা পেতে নিব। আর কামরুল গাজী যদি কোন অন্যায় করে তাহলে বিচারের ভার সকলের উপর ছেড়ে দিলাম।

শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিলে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় তাৎক্ষণিক আন্দলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, কলেজের পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি, সাধারণ শিক্ষক, অভিভাবক সদস্য, সাধারণ অভিভাবক, সাধারণ শিক্ষার্থী, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, কয়েকজন সুশীল সমাজের লোকজন অধ্যক্ষের কক্ষে আলোচনায় বসে। সেখানে তাদের কে কলেজে বিশৃঙ্খলা না করে শ্রেণী কক্ষে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয় এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে তা লিখিত ভাবে জানানোর কথা বলা হয়।

নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বর্তমান সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান বালী বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ কলেজ ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে। যদি কেও লিখিত অভিযোগ দেয় সেক্ষেত্রে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সালথায় অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

ফরিদপুরের সালথার নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) বেলা ১১টায় এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এসময় শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।

আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমান বিভিন্ন সময়ে অনেক অনিয়ম করেছে, বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমরা আন্দোলন করতে গেলে আমাদের আন্দোলন করতে নিষেধ করে। এছাড়াও আমাদের কয়েকজনের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে আন্দোলনে না যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। অনেক সময় আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।

এসময় কলেজের পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি, সাধারণ শিক্ষক, অভিভাবক সদস্য, সাধারণ অভিভাবক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে তাদের কোন অভিযোগ নেই বলে জানায়।

নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, যারা আন্দোলন করছে তাদের বেশিরভাগই অছাত্র। মুলত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজী আমাদের কাছে ১লাখ ৭০হাজার টাকার একটি ভূয়া বিল দেয় আমি সেটাতে সাক্ষর না করার জন্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। তার কাছে দোকানভাড়া বাবদ বেশ কিছু টাকা পাওয়া যাবে, এই টাকা আদায়ের জন্য নোটিশ করলে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং তার কয়েকজন ভাই-ভাতিজা ও বহিরাগত দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। কামরুল গাজী পার্শ্ববর্তী রুপপাত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে এখন এই কলেজ টা ধরছে।

তিনি আরও বলেন, শেষ সময়ে দুদকের পরিচালক প্রনব কুমার ভট্টাচার্য ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন তারা নিয়মিত তদারকি করেছেন। আরও তদন্ত হোক আমি কোন অনিয়ম করলে যে ব্যবস্থা নেয় আমি মাথা পেতে নিব। আর কামরুল গাজী যদি কোন অন্যায় করে তাহলে বিচারের ভার সকলের উপর ছেড়ে দিলাম।

শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিলে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় তাৎক্ষণিক আন্দলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, কলেজের পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি, সাধারণ শিক্ষক, অভিভাবক সদস্য, সাধারণ অভিভাবক, সাধারণ শিক্ষার্থী, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, কয়েকজন সুশীল সমাজের লোকজন অধ্যক্ষের কক্ষে আলোচনায় বসে। সেখানে তাদের কে কলেজে বিশৃঙ্খলা না করে শ্রেণী কক্ষে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয় এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে তা লিখিত ভাবে জানানোর কথা বলা হয়।

নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বর্তমান সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান বালী বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ কলেজ ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে। যদি কেও লিখিত অভিযোগ দেয় সেক্ষেত্রে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।