সাবেক হুইপ স্বপন-এমপি দুদুর বিরুদ্ধে মামলা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট হামলা, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও গুলি করে আহত করার অভিযোগে জয়পুরহাট থানায় বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন মিনকুল হোসেন নামে জয়পুরহাট বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের গুলিবিদ্ধ এক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে জয়পুরহাট জেলায় মামলার সংখ্যা হলো ১১ টি।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জয়পুরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি এ্যাডঃ সামছুল আলম দুদু ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি মাহফুজা মন্ডল রিনাসহ ৩২৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এ্যাডঃ সামছুল আলম দুদু ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলো-জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও আব্দুল আজিজ মোল্লা , সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মিঠু ও এস এম সোলায়মান আলী, পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান সাবেকুন্নাহার শিখা ও মনিরুল শহীদ মুন্না, সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব, ক্ষেতলাল উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া, মোস্তাকিম মন্ডল ও তাইফুল ইসলাম তালুকদার। সাবেক মেয়র সিরাজুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম বুলু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজা, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কুমার সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর, কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন সহ ।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জয়পুরহাট সদর উপজেলার থিয়ট গ্রামের সিদ্দিক শেখের ছেলে জয়পুরহাট বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ মিনকুল হোসেন বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় মামলাটি করেন।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর মামলার বরাত দিয়ে বলেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে শহরের বাটারমোড় এলাকায় গুম, খুন ও নির্যাতনের মাধ্যমে আন্দোলন দমানোর জন্য সশস্ত্র অবস্থায় আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর সশস্ত্র হামলা ও গুলি চালায়। এতে মিনকুল হোসেনের চোখে গুলি লাগলে গুরুতর আহত হন। এছাড়া ওই দিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক কর্মী গুরুতর আহত হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।