ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুই মামলা

আশ্রাফুল আলম, গোদাগাড়ী (রাজশাহী)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি এবং ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের রাজশাহী-১ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা হয়েছে। গোদাগাড়ী থানায় এ দুইটি মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান ওসি আতাউর রহমান।

ওসি জানান, রোববার (২৫ আগস্ট) রাতের মধ্যে পরপর এ দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়। তবে আসামিরা সবাই পলাতক। তাই মামলা দুটি তদন্তের পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তারের জন্যও শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।

ওসি আতাউর রহমান জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর গ্রামের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের রাজশাহী জেলার যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হামিদ বাবলু বাদী হয়ে প্রথম মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশে উপজেলা সদর ডাইংপাড়া মোড়ে গত ৫ আগস্ট আন্দোলনরত ছাত্রজনতার ওপর হামলা চালানো হয়। ওইদিন হামলার সময় গুলিও বর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী গুলিবৃদ্ধ হন। তাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।

এ মামলায় সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রেমতলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও ৫ নং গোগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মাটিকাটা আর্দশ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু সহ আওয়ামী লীগের ৪৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জন নেতাকর্মীকে।

আর গোদাগাড়ী থানার দ্বিতীয় মামলাটি করেন উপজেলার লস্করহাটি গ্রামের তসিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তার মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গোদাগাড়ী উপজেলার লস্করহাটি কেন্দ্রে ভোট চলাকালে নিজের পক্ষের নেতাকর্মীদের দিয়ে নৌকায় সিল মারিয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। এ মামলায় তাই সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় ২২ জন আসামি ছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৬০ জনকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুই মামলা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪


ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি এবং ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের রাজশাহী-১ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা হয়েছে। গোদাগাড়ী থানায় এ দুইটি মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান ওসি আতাউর রহমান।

ওসি জানান, রোববার (২৫ আগস্ট) রাতের মধ্যে পরপর এ দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়। তবে আসামিরা সবাই পলাতক। তাই মামলা দুটি তদন্তের পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তারের জন্যও শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।

ওসি আতাউর রহমান জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর গ্রামের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের রাজশাহী জেলার যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হামিদ বাবলু বাদী হয়ে প্রথম মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশে উপজেলা সদর ডাইংপাড়া মোড়ে গত ৫ আগস্ট আন্দোলনরত ছাত্রজনতার ওপর হামলা চালানো হয়। ওইদিন হামলার সময় গুলিও বর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী গুলিবৃদ্ধ হন। তাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।

এ মামলায় সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রেমতলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও ৫ নং গোগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মাটিকাটা আর্দশ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজু সহ আওয়ামী লীগের ৪৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জন নেতাকর্মীকে।

আর গোদাগাড়ী থানার দ্বিতীয় মামলাটি করেন উপজেলার লস্করহাটি গ্রামের তসিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তার মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গোদাগাড়ী উপজেলার লস্করহাটি কেন্দ্রে ভোট চলাকালে নিজের পক্ষের নেতাকর্মীদের দিয়ে নৌকায় সিল মারিয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। এ মামলায় তাই সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় ২২ জন আসামি ছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৬০ জনকে।