সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক এমপি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ১৯৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় তার স্ত্রী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনকেও আসামি করা হয়।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানায় এই মামলাটি করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল গ্রামের আকরাম হোসেন আদনান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এনিয়ে মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে পাঁটি হত্যা মামলা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলো-ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, সদ্য সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সৈয়দ হাসনাত সিফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন মোল্লা, রবিউল আলম রবি, নারী ভাইস চেয়ারম্যান আফরিন ফাতেমা জুঁই, মাছিহাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল আমিন পাভেল,পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুক জীবন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিনারা আলম, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক মিয়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর শাহীন, সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি সামি আহমেদ নাবিল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানি, বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন, আশুগঞ্জের তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া, বিজয়নগরের ইছাপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল,ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব হোসেন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাজভী প্রমুখ।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোজাফফর হোসেন হোসেন বলেন,মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালে ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগমনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসায় ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে। মোকতাদির চৌধুরীর হুকুমে ও নির্দেশে অন্য আসামিরা ওই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগেরসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ করে গুলি করে। এসময় বুধল এলাকার কাউসার আহমেদ নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত কাউসারের চাচা আকরাম হোসেন আদনান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরণ আইনে মামলা করেন।