ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি ও তথ্য প্রবাহ অবারিত করতে চাই।

শনিবার( ২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘ মিট দ্য রিপোর্টার্স ’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান ।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, সাংবাদিকতার জন্য একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই আমরা বাংলাদেশে । মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিযে জন্ম নেয়া ও স্বাধীন হওয়া দেশ বাংলাদেশ । মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার মুক্ত গণমাধ্যম, সাংবাদিকতার একটি চমৎকার পরিবেশ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা । এজন্য যা যা লাগে সেসব আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবং এরমধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তিই উপকৃত হবেন । যারা উগ্রবাদ- জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান, তারাই মিথ্যা অপপ্রচার এবং অপতথ্যের ওপর ভর করে তাদের অপরাজনীতি করে ।

তিনি এ সময় আরও বলেন, আমরা তথ্য প্রবাহ অবারিত করতে চাই । সঠিক তথ্য দেওয়ার বিষয়গুলোকে আমরা জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই এবং তথ্য অধিকার আইন যেটি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই পাশ হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার যে বার্তাটি দিতে চায়, তথ্য যদি চাওয়া হয়, তথ্য দিতে হবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্তরা সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বভার নিয়ে কাজ করছে। কাজেই জনগণের যেসব তথ্য জানার অধিকার আছে, সেইসব তথ্য দেয়ার বিষয় আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক, এই চিন্তাটা জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে । সরকার তথ্য দিতে চায়, কারণ যদি তথ্য না থাকে তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয় ।

তিনি আরও বলেন, যারা সাংবাদিকতা পেশায় আছেন এবং বিভিন্ন ধরণের অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়েন, তাদের সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে সহযোগিতার চেষ্টা করা হচ্ছে । আমাদের উদ্দেশ্য গণমাধ্যম থাকবে, সাংবাদিকতা থাকবে, মুক্তবুদ্ধির চর্চা হবে, মুক্ত সাংবাদিকতা থাকবে । সরকার ও কর্তৃপক্ষের ভুল- ভ্রান্তি থাকলে, ব্যর্থতা থাকলে তার সমালোচনাও হবে ।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, অসত্য তথ্যের মাধ্যমে যেসব অপপ্রচার করা হয়, তা সরকার ও সাংবাদিকরা একসাথে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে । কারণ তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং গঠনমূলক সমালোচনা যেমন গণতন্ত্রের জন্য, একটি দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য, তেমনি তথ্যের বিপরীতে অপতথ্য সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। যে কারণে সম্মিলিতভাবে আমাদের একটি দায় আছে, কীভাবে আমরা অপতথ্য রোধ করতে পারি এবং কীভাবে তথ্যের অবাধ প্রবাহ আমরা সুনিশ্চিত করতে পারি ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি ও তথ্য প্রবাহ অবারিত করতে চাই।

শনিবার( ২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘ মিট দ্য রিপোর্টার্স ’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান ।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, সাংবাদিকতার জন্য একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই আমরা বাংলাদেশে । মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিযে জন্ম নেয়া ও স্বাধীন হওয়া দেশ বাংলাদেশ । মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার মুক্ত গণমাধ্যম, সাংবাদিকতার একটি চমৎকার পরিবেশ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা । এজন্য যা যা লাগে সেসব আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবং এরমধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তিই উপকৃত হবেন । যারা উগ্রবাদ- জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান, তারাই মিথ্যা অপপ্রচার এবং অপতথ্যের ওপর ভর করে তাদের অপরাজনীতি করে ।

তিনি এ সময় আরও বলেন, আমরা তথ্য প্রবাহ অবারিত করতে চাই । সঠিক তথ্য দেওয়ার বিষয়গুলোকে আমরা জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই এবং তথ্য অধিকার আইন যেটি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই পাশ হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার যে বার্তাটি দিতে চায়, তথ্য যদি চাওয়া হয়, তথ্য দিতে হবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্তরা সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বভার নিয়ে কাজ করছে। কাজেই জনগণের যেসব তথ্য জানার অধিকার আছে, সেইসব তথ্য দেয়ার বিষয় আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক, এই চিন্তাটা জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে । সরকার তথ্য দিতে চায়, কারণ যদি তথ্য না থাকে তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয় ।

তিনি আরও বলেন, যারা সাংবাদিকতা পেশায় আছেন এবং বিভিন্ন ধরণের অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়েন, তাদের সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে সহযোগিতার চেষ্টা করা হচ্ছে । আমাদের উদ্দেশ্য গণমাধ্যম থাকবে, সাংবাদিকতা থাকবে, মুক্তবুদ্ধির চর্চা হবে, মুক্ত সাংবাদিকতা থাকবে । সরকার ও কর্তৃপক্ষের ভুল- ভ্রান্তি থাকলে, ব্যর্থতা থাকলে তার সমালোচনাও হবে ।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, অসত্য তথ্যের মাধ্যমে যেসব অপপ্রচার করা হয়, তা সরকার ও সাংবাদিকরা একসাথে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে । কারণ তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং গঠনমূলক সমালোচনা যেমন গণতন্ত্রের জন্য, একটি দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য, তেমনি তথ্যের বিপরীতে অপতথ্য সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। যে কারণে সম্মিলিতভাবে আমাদের একটি দায় আছে, কীভাবে আমরা অপতথ্য রোধ করতে পারি এবং কীভাবে তথ্যের অবাধ প্রবাহ আমরা সুনিশ্চিত করতে পারি ।