ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকদের হেনস্তা, শিক্ষা উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

আজিজুল বুলু,নীলফামারী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি স্বার্থান্বেষী মহল শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে শিক্ষকদের হেনস্থা ও জোড়পৃর্বক পদত্যাগ করাতে বাধ্য করছেন। এমন অভিযোগের হিড়িক পড়েছে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেনস্তার শিকার প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শিক্ষা উপদেষ্ঠার হস্তক্ষেপ চান তারা।

অভিযোগে জানা গেছে,সম্প্রতি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (পরিচালনা পরিষদ)ম্যানেজিং কমিটি পদ থেকে অপসরণের প্রজ্ঞাপন জারি করেন আন্তবর্তীকালিন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্ঠ ওয়াহিদ উদ্দিন।এ প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে স্কুল এন্ড কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে লেখা-পড়ার পরিবেশ ব্যহত করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল।এই মহলটি শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও শিক্ষকদের চাকুরী বিধিমাল উপেক্ষা করে বে-আইনি ভাবে শিক্ষাকদের শারিক-মানুষিক নির্যাাতন ও পদত্যাগে করাতে বাধ্য করছেন।এরফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।

নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়াসরমজানি ইউনিয়নের বাবড়ীঝাড় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গত (২১ আগষ্ট) বুধবার দুপুরে একটি স্বার্থনিষি মহল ও কতিপয় শিক্ষার্থীদের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান জহির উদ্দীন।এ হেনস্তার অভিযোগ জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের দপ্তরে করেছেন তিনি।

বাবড়ীঝাড় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দীন অভিয়োগে উল্লেখ করেছেন, বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকার একটি স্বর্থনিষি মহল ও কতিপয় শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে আমার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে।এরপর অফিসের আসবাপত্র ভাংচুর ও আমাকে শারীরিক-মানুষিক নির্যাতন করে আমার কাছ থেকে জোরপৃর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়।এ অনৈতিক কর্মকান্ডে সুষ্ঠু তদন্ত ও স্বার্থনিষি মহলের বিচার দাবী করেন তিনি।

হামলা ও পদত্যাগের উত্তাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রঙ্গণ গুলো হচ্ছে:নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়ঘাছা স্কুল এন্ড কলেজ ,সোনারায় ডিগ্রী কলেজ,চড়াইখোলা স্কুল এন্ড কলেজ,দুবাছুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়,বাবড়ীঝাড় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়।এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের হেনস্তা ও পদত্যাগে বাধ্য করানোর অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হকের কাছে করেছেন বলে জানা গেছে।

নানা অভিযোগ তুলে এসব বিদ্যালয়ের উশৃংঙ্খল জনতা-শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করছেনা।এ হেনস্তা থেকে নারী শিক্ষকরা বাদ পড়ছেন।এমন অভিযোগ করেছেন বাবড়ীঝাড় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক সুলতারা ও শিক্ষক আলমগীর।হেনস্তা শিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শিক্ষা মন্ত্রনালযের মননীয় উপদেষ্ঠার হস্তক্ষেপ কামলা করেছেন তারা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শিক্ষকদের হেনস্তা, শিক্ষা উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

নীলফামারীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি স্বার্থান্বেষী মহল শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে শিক্ষকদের হেনস্থা ও জোড়পৃর্বক পদত্যাগ করাতে বাধ্য করছেন। এমন অভিযোগের হিড়িক পড়েছে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেনস্তার শিকার প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শিক্ষা উপদেষ্ঠার হস্তক্ষেপ চান তারা।

অভিযোগে জানা গেছে,সম্প্রতি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (পরিচালনা পরিষদ)ম্যানেজিং কমিটি পদ থেকে অপসরণের প্রজ্ঞাপন জারি করেন আন্তবর্তীকালিন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্ঠ ওয়াহিদ উদ্দিন।এ প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে স্কুল এন্ড কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে লেখা-পড়ার পরিবেশ ব্যহত করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল।এই মহলটি শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও শিক্ষকদের চাকুরী বিধিমাল উপেক্ষা করে বে-আইনি ভাবে শিক্ষাকদের শারিক-মানুষিক নির্যাাতন ও পদত্যাগে করাতে বাধ্য করছেন।এরফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।

নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়াসরমজানি ইউনিয়নের বাবড়ীঝাড় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গত (২১ আগষ্ট) বুধবার দুপুরে একটি স্বার্থনিষি মহল ও কতিপয় শিক্ষার্থীদের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান জহির উদ্দীন।এ হেনস্তার অভিযোগ জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের দপ্তরে করেছেন তিনি।

বাবড়ীঝাড় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দীন অভিয়োগে উল্লেখ করেছেন, বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকার একটি স্বর্থনিষি মহল ও কতিপয় শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে আমার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে।এরপর অফিসের আসবাপত্র ভাংচুর ও আমাকে শারীরিক-মানুষিক নির্যাতন করে আমার কাছ থেকে জোরপৃর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়।এ অনৈতিক কর্মকান্ডে সুষ্ঠু তদন্ত ও স্বার্থনিষি মহলের বিচার দাবী করেন তিনি।

হামলা ও পদত্যাগের উত্তাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রঙ্গণ গুলো হচ্ছে:নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়ঘাছা স্কুল এন্ড কলেজ ,সোনারায় ডিগ্রী কলেজ,চড়াইখোলা স্কুল এন্ড কলেজ,দুবাছুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়,বাবড়ীঝাড় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়।এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের হেনস্তা ও পদত্যাগে বাধ্য করানোর অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হকের কাছে করেছেন বলে জানা গেছে।

নানা অভিযোগ তুলে এসব বিদ্যালয়ের উশৃংঙ্খল জনতা-শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করছেনা।এ হেনস্তা থেকে নারী শিক্ষকরা বাদ পড়ছেন।এমন অভিযোগ করেছেন বাবড়ীঝাড় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক সুলতারা ও শিক্ষক আলমগীর।হেনস্তা শিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শিক্ষা মন্ত্রনালযের মননীয় উপদেষ্ঠার হস্তক্ষেপ কামলা করেছেন তারা