ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘রেমাল’ কেড়ে নিলো সব, এখন কি করবেন তৃষ্ণা-দিপালীরা?

উত্তম কুমার হাওলাদার, পটুয়াখালী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪ ৯৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে কর্মহীন তৃষ্ণা রানীর স্বামী খোকন গাইন। তিনি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া পৌর শহরের ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে। কয়েকটি শিশুকে প্রাইভেট পড়িয়ে যা পান তা দিয়েই চলে তার সংসার। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমাল তাদের সেই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও কেড়ে নিয়েছে।

ঘরের মালামাল পানিতে ভেসে গেছে। ‘রেমাল’ চলে গেলেও ঘর মেরামত করার মতো তার সেই সামর্থ নেই। অর্থ নেই, তাই মাথার উপর আচ্ছাদন দেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি নিজেই।

তৃষ্ণা রানী জানান, সিডরের পর থেকেই চার দফায় তার ঘর ভেঙেছে ঝড়ে। কিন্তু রেমালের তোড়ে তার শেষ সম্বলটুকু ভেসে গেছে।

একই এলাকার বিধবা দিপালী রানীর ঘর চাপা পড়েছে গাছের নিচে। বৃদ্ধ শাশুড়ি ও ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন পাশে র্তী কলেজের একটি রুমে রাত কাটাচ্ছেন।

দিপালী রানী জানান, তিন বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। ছেলে চয়ন লোখাপড়ার পাশাপাশি ফুটপথে চা বিক্রি করে। তাই দিয়েই সংসার চলে। ঘূর্নিঝড় রেমালের তান্ডবে গাছ পড়ে ঘরের সব ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। সে এখন কিভাবে এই ঘরে থাকবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তৃষ্ণা ও দিপালীর মতো নিম্নআয়ের পরিবারগুলোর মাঝে চলছে নিরব কান্না।

কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভায় যেন ঘূর্ণিঝড় রমাল রেখে গেছে ধ্বংসের ছাপ। রোমালের তান্ডবে উপজেলার ১৬৭১টি ঘর বাড়ী সম্পূর্ন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর ২৬ হাজার ৯টি ঘর বাড়ী আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই উপজেলায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার। এসব তথ্য জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.হুমায়ুন কবির বাংলা টাইমসকে জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের গৃহনির্মাণ বাবদ টিন এবং অন্যান্য উপকরণ বরাদ্দ রয়েছে। যা অতি দ্রুত তাদের দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘রেমাল’ কেড়ে নিলো সব, এখন কি করবেন তৃষ্ণা-দিপালীরা?

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে কর্মহীন তৃষ্ণা রানীর স্বামী খোকন গাইন। তিনি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া পৌর শহরের ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে। কয়েকটি শিশুকে প্রাইভেট পড়িয়ে যা পান তা দিয়েই চলে তার সংসার। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমাল তাদের সেই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও কেড়ে নিয়েছে।

ঘরের মালামাল পানিতে ভেসে গেছে। ‘রেমাল’ চলে গেলেও ঘর মেরামত করার মতো তার সেই সামর্থ নেই। অর্থ নেই, তাই মাথার উপর আচ্ছাদন দেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি নিজেই।

তৃষ্ণা রানী জানান, সিডরের পর থেকেই চার দফায় তার ঘর ভেঙেছে ঝড়ে। কিন্তু রেমালের তোড়ে তার শেষ সম্বলটুকু ভেসে গেছে।

একই এলাকার বিধবা দিপালী রানীর ঘর চাপা পড়েছে গাছের নিচে। বৃদ্ধ শাশুড়ি ও ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন পাশে র্তী কলেজের একটি রুমে রাত কাটাচ্ছেন।

দিপালী রানী জানান, তিন বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। ছেলে চয়ন লোখাপড়ার পাশাপাশি ফুটপথে চা বিক্রি করে। তাই দিয়েই সংসার চলে। ঘূর্নিঝড় রেমালের তান্ডবে গাছ পড়ে ঘরের সব ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। সে এখন কিভাবে এই ঘরে থাকবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তৃষ্ণা ও দিপালীর মতো নিম্নআয়ের পরিবারগুলোর মাঝে চলছে নিরব কান্না।

কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভায় যেন ঘূর্ণিঝড় রমাল রেখে গেছে ধ্বংসের ছাপ। রোমালের তান্ডবে উপজেলার ১৬৭১টি ঘর বাড়ী সম্পূর্ন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর ২৬ হাজার ৯টি ঘর বাড়ী আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই উপজেলায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার। এসব তথ্য জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.হুমায়ুন কবির বাংলা টাইমসকে জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের গৃহনির্মাণ বাবদ টিন এবং অন্যান্য উপকরণ বরাদ্দ রয়েছে। যা অতি দ্রুত তাদের দেয়া হবে।