যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের রফিক হত্যা মামলায় ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপর ৪ আসামির ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৪টায় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এই রায় ঘোষণা করেন। একইসাথে মামলার ৪ আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাদের হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। বাদী পক্ষ রায়ে সন্তুষ্ট হলেও উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।

দণ্ডিতরা হলো- ওয়াদুদ, রবিউল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মাহবুব আলী, আজিজুর, আরিফ, জাকির, কাওছার আলী, আব্দুর রাজ্জাক ও সহিদুল ইসলাম।

মামলার বিবরণে প্রকাশ, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ১৯৯৮ সালের ১৩ জানুয়ারি বিকেলে আসামিরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রফিকুলে ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর আসামি ইকবাল তার হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে রফিকুলকে আঘাত করে। পরে গেলে অন্যান্য আসামিরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় রফিকুলের চাচাতো ভাই নাজের, আকরাম তাকে রক্ষায় ছুটে গেলে আসামিরা তাদের পিটিয়ে জখম করে। পরে আসামিরা রফিকুলের মৃত্যু নিশ্চত হয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় নিহত রফিকুলের ফুফাতো ভাই ইশারত হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। এরপর ১৯৯৮ সালের ২৫ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সকল আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামি ওয়াদুদ, রবিউল, জহিরুল, মাহাবুব, আজিজুর ও আরিফকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদণ্ড এবং জাকির , কাওছার, আব্দুর রাজ্জাক ও সহিদুল ইসলামকে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া অপর ৪ আসামি মামলা চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাদের হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক।