ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘যারা জয় বাংলা স্লোগানে বিশ্বাসী নয়, তারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায় না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র অগ্নিসংযোগ ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে দেশকে ধ্বংস করতে নেমেছে। এজন্য তিনি বলে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার ও আহবান জানান। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বর্জনের পর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংস করতে এবং জনদুর্ভোগ বাড়াতে চায়।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব একথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনে ৩শ’ আসনের মধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ৩০ টি আসন পেয়েছিল। এখন নির্বাচন না করে নির্বাচন বানচাল করতে এবং দেশকে ধ্বংস করতে নেমেছে। সে বিষয়ে মানুষকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা জয় বাংলা স্লোগানে বিশ্বাস করে না, ৭ মার্চের ভাষণকে প্রেরণা বলে মনে করে না তার অর্থ তারা স্বাধীন বাংলাদেশই চায় না। বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন তথা তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন তারা চায় না। কাজেই তাদের মানুষ কেন ভোট দেবে।

তিনি আরও বলেন, জনগণ বারবার আমাদের ভোট দিয়েছে, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে, আর দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হচ্ছে। আর যে দলটির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন, যে দল দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছে, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বিজয় এনে দিয়েছে, সেই দলই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

সরকার প্রধান বলেন, যার দাঁত তার ব্যথা’ যে কষ্ট করে সে বোঝে, মানুষের জন্য তার কি করতে হবে। আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে যান। কিন্তু এরপরের ২৯ বছরে দেশ কিন্তু এক কদমও আগে বাড়েনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই দেশ সামনের দিকে এগিয়ে গেছে এবং ইনশাল্লাহ একদিন জাতির পিতা স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, দলের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজীর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক এস. এম. মান্নান কচি ও মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আবৃত্তিকার শিমূল মুস্তাফা নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কী করে আমাদের হলো’ কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান।


দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম আলেচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘যারা জয় বাংলা স্লোগানে বিশ্বাসী নয়, তারা স্বাধীন বাংলাদেশ চায় না’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র অগ্নিসংযোগ ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে দেশকে ধ্বংস করতে নেমেছে। এজন্য তিনি বলে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার ও আহবান জানান। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বর্জনের পর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংস করতে এবং জনদুর্ভোগ বাড়াতে চায়।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব একথা বলেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনে ৩শ’ আসনের মধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ৩০ টি আসন পেয়েছিল। এখন নির্বাচন না করে নির্বাচন বানচাল করতে এবং দেশকে ধ্বংস করতে নেমেছে। সে বিষয়ে মানুষকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা জয় বাংলা স্লোগানে বিশ্বাস করে না, ৭ মার্চের ভাষণকে প্রেরণা বলে মনে করে না তার অর্থ তারা স্বাধীন বাংলাদেশই চায় না। বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন তথা তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন তারা চায় না। কাজেই তাদের মানুষ কেন ভোট দেবে।

তিনি আরও বলেন, জনগণ বারবার আমাদের ভোট দিয়েছে, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে, আর দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হচ্ছে। আর যে দলটির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন, যে দল দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছে, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বিজয় এনে দিয়েছে, সেই দলই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

সরকার প্রধান বলেন, যার দাঁত তার ব্যথা’ যে কষ্ট করে সে বোঝে, মানুষের জন্য তার কি করতে হবে। আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে যান। কিন্তু এরপরের ২৯ বছরে দেশ কিন্তু এক কদমও আগে বাড়েনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই দেশ সামনের দিকে এগিয়ে গেছে এবং ইনশাল্লাহ একদিন জাতির পিতা স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, দলের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজীর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক এস. এম. মান্নান কচি ও মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আবৃত্তিকার শিমূল মুস্তাফা নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কী করে আমাদের হলো’ কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান।


দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম আলেচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন।