ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দখল করে নাম বদলে দিলেন বিএনপি নেতারা

মো. শাহ জালাল, বরিশাল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে অবস্থিত ‘বরিশাল জেলা মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ দখল করে নাম বদলে ‘শহীদ জিয়া মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুরোনো সাইনবোর্ডের সামনে দু’দিন আগে নতুন নামের একটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে।

বরিশাল জেলা মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ নাম থাকা এই আড়তের নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘শহীদ জিয়া মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’। তবে এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি আগে চারদলীয় জোট সরকারের সময় জিয়ার নামেই ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে। এখন আগের নাম ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান নামকরণের উদ্যোক্তারা।

জানা গেছে, গত দেড় যুগ ধরে এর দখল ছিল আওয়ামী লীগের নেতাদের হাতে। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি নেতারা আড়ত দখলে নিয়ে নাম বদলে দিয়েছেন।

তবে এ নামকরণের বিষয়ে কিছু জানে না বাজারটির ইজারাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এমনকি নগর বিএনপির শীর্ষ নেতারাও এ বিষয়ে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।

পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১০ সালের দিকে এর নিয়ন্ত্রণ নেন মৎস্যজীবী লীগের নেতা খান হাবিব। তিনি ছিলেন তৎকালীন সিটি মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণের অনুসারী। তিনি তার বাহিনী দিয়ে মোকামের পাশাপাশি রাস্তার ওপর বাজার বসিয়ে চাঁদা তুলতেন।

এরপর ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করে মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল।

গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর খান হাবিব আত্মগোপন করেন। এতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন বিএনপি নেতা মৎস্য আড়তটিতে হানা দেন। ওই ওয়ার্ডেই ব্যবসা কেন্দ্রটি অবস্থিত। ফলে ৭ ও ৮ আগস্ট সেখানে খাজনা আদায় বন্ধ ছিল। এ খবর জানাজানি হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা গিয়ে প্রকৃত ইজারাদারের প্রতিনিধির খাজনা আদায় নিশ্চিত করেন। তবে খান হাবিবসহ তার অনুসারীরা আত্মগোপনে থাকায় মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর শীর্ষ পদ বাগিয়ে নেন বিএনপিপন্থীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দখল করে নাম বদলে দিলেন বিএনপি নেতারা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে অবস্থিত ‘বরিশাল জেলা মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ দখল করে নাম বদলে ‘শহীদ জিয়া মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুরোনো সাইনবোর্ডের সামনে দু’দিন আগে নতুন নামের একটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে।

বরিশাল জেলা মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ নাম থাকা এই আড়তের নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘শহীদ জিয়া মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’। তবে এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি আগে চারদলীয় জোট সরকারের সময় জিয়ার নামেই ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে। এখন আগের নাম ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান নামকরণের উদ্যোক্তারা।

জানা গেছে, গত দেড় যুগ ধরে এর দখল ছিল আওয়ামী লীগের নেতাদের হাতে। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি নেতারা আড়ত দখলে নিয়ে নাম বদলে দিয়েছেন।

তবে এ নামকরণের বিষয়ে কিছু জানে না বাজারটির ইজারাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এমনকি নগর বিএনপির শীর্ষ নেতারাও এ বিষয়ে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।

পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১০ সালের দিকে এর নিয়ন্ত্রণ নেন মৎস্যজীবী লীগের নেতা খান হাবিব। তিনি ছিলেন তৎকালীন সিটি মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণের অনুসারী। তিনি তার বাহিনী দিয়ে মোকামের পাশাপাশি রাস্তার ওপর বাজার বসিয়ে চাঁদা তুলতেন।

এরপর ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করে মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল।

গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর খান হাবিব আত্মগোপন করেন। এতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন বিএনপি নেতা মৎস্য আড়তটিতে হানা দেন। ওই ওয়ার্ডেই ব্যবসা কেন্দ্রটি অবস্থিত। ফলে ৭ ও ৮ আগস্ট সেখানে খাজনা আদায় বন্ধ ছিল। এ খবর জানাজানি হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা গিয়ে প্রকৃত ইজারাদারের প্রতিনিধির খাজনা আদায় নিশ্চিত করেন। তবে খান হাবিবসহ তার অনুসারীরা আত্মগোপনে থাকায় মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর শীর্ষ পদ বাগিয়ে নেন বিএনপিপন্থীরা।