এসএসসি হবে এক বছরের সিলেবাসে

মাধ্যমিকে ফিরছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী চলতি বছর থেকে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি শাখা তুলে দেয়া হয়েছিলো। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন শিক্ষাক্রমের এই বিষয়টিসহ অনেক কিছু বাদ দিয়ে মাধ্যমিকে বিভাজন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

একই সাথে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের অনেক বিষয় যুক্ত হচ্ছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী বছর যেসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে উঠবে, তারা পুরোনো শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক পরিমার্জিত পাঠ্যবই (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) পাবে। তারা আগের মতো নবম ও দশম মিলিয়ে দুই শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যসূচি শেষ করে ২০২৭ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেবে।

নতুন শিক্ষাক্রমে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যা পড়বে-

বর্তমানে যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারা আগামী বছরের জানুয়ারিতে দশম শ্রেণিতে উঠবে। তাদের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয়) নেওয়ার লক্ষে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে-২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে, প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবইগুলো (২০২৩ সালে ব্যবহৃত বই) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। বিভাগভিত্তিক এ পাঠ্যবইগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি তৈরি করা হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচি শেষ করতে পারে। একেবারে সহজ করে বললে এখন যেসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারাও বিভাগ বিভাজনের মাধ্যমেই এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তাদের পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে হবে। অর্থাৎ এত দিন ধরে যেভাবে পরীক্ষা হয়েছে সেভাবেই হবে।

অর্ধবার্ষিকীর বাকি মূল্যায়ন হচ্ছে না-

চলতি বছরের বাকি সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। উল্লেখ, শ্রেণি কার্যক্রমগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিটির ৬টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম বাকি রয়েছে সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। মানে ষাণ্মাসিক বা অর্ধবার্ষিকীর বাকি মূল্যায়ন হচ্ছে না। সংশোধিত ও পরিমার্জন করা মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ এ বছরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগির বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।

তবে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যপুস্তকগুলো এ বছর বহাল থাকবে। কিন্তু ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জন করা পাঠ্যবই সরবরাহ করা হবে।

প্রাথমিকের বই-

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের সাথে ধারাবাহিকতা রেখে এরমধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইগুলোর পাণ্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। এ ক্ষেত্রে যত দূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মতো হবে। মানে পরীক্ষাই প্রাধান্য পাবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

এসএসসি হবে এক বছরের সিলেবাসে

মাধ্যমিকে ফিরছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী চলতি বছর থেকে নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি শাখা তুলে দেয়া হয়েছিলো। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন শিক্ষাক্রমের এই বিষয়টিসহ অনেক কিছু বাদ দিয়ে মাধ্যমিকে বিভাজন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

একই সাথে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের অনেক বিষয় যুক্ত হচ্ছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী বছর যেসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে উঠবে, তারা পুরোনো শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক পরিমার্জিত পাঠ্যবই (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) পাবে। তারা আগের মতো নবম ও দশম মিলিয়ে দুই শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যসূচি শেষ করে ২০২৭ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেবে।

নতুন শিক্ষাক্রমে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যা পড়বে-

বর্তমানে যারা নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারা আগামী বছরের জানুয়ারিতে দশম শ্রেণিতে উঠবে। তাদের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয়) নেওয়ার লক্ষে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে-২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে, প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবইগুলো (২০২৩ সালে ব্যবহৃত বই) শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে। বিভাগভিত্তিক এ পাঠ্যবইগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি তৈরি করা হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচি শেষ করতে পারে। একেবারে সহজ করে বললে এখন যেসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারাও বিভাগ বিভাজনের মাধ্যমেই এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তাদের পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে হবে। অর্থাৎ এত দিন ধরে যেভাবে পরীক্ষা হয়েছে সেভাবেই হবে।

অর্ধবার্ষিকীর বাকি মূল্যায়ন হচ্ছে না-

চলতি বছরের বাকি সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। উল্লেখ, শ্রেণি কার্যক্রমগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রতিটির ৬টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম বাকি রয়েছে সেগুলো আর অনুষ্ঠিত হবে না। মানে ষাণ্মাসিক বা অর্ধবার্ষিকীর বাকি মূল্যায়ন হচ্ছে না। সংশোধিত ও পরিমার্জন করা মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ এ বছরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগির বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।

তবে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যপুস্তকগুলো এ বছর বহাল থাকবে। কিন্তু ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জন করা পাঠ্যবই সরবরাহ করা হবে।

প্রাথমিকের বই-

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের সাথে ধারাবাহিকতা রেখে এরমধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইগুলোর পাণ্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। এ ক্ষেত্রে যত দূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মতো হবে। মানে পরীক্ষাই প্রাধান্য পাবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করা হবে।