ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, এখনো চাল পাননি ৪৬ ভাগ জেলে

মো: রবিউল ইসলাম খান, লক্ষ্মীপুর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ১১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে মার্চ-এপ্রিল মাস সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এই সময়ে সরকারিভাবে জেলেদের চাল দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৪৬ শতাংশ জেলে এখনো চাল পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

জেলেদের দাবি কোনো কোনো পরিবারে দুই মাসের জন্য ৮০ কেজি চাল পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া জেলেদের তালিকায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নাম রয়েছে এ ছাড়া জনপ্রতিনিধি তাদের স্বজন ও জেলে পেশার বাইরে লোকদের অর্ন্তভুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলার ৪টিতে সরকারি তালিকাভুক্ত জেলে ৫২ হাজার ৩৫১ জন। এরমধ্যে সদরে সাত হাজার ৪৪৬ জন, রায়পুর উপজেলায় সাত হাজার ৯৯৮, রামগতি উপজেলায় ২৩ হাজার ৯৬৯ জন ও কমলনগর উপজেলায় ১২ হাজার ৯৩৮ জন জেলে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞাকালীন এইসব নিবন্ধিত জেলেদের মাথাপিছু ৮০ কেজি করে দেওয়ার কথা। তবে জেলায় ২৮ হাজার ৩৪৪ জেলের জন্য দুই হাজার ২৬৭ দশমিক ৫২ টন চাল বরাদ্দ এসেছে। বাকি ২৪ হাজার ৭ জেলের বরাদ্দইপাওয়া যায়নি।

সরেজমিন জেলেপল্লীতে দেখা যায়, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে যেতে পারছেন না জেলেরা। এই সময় বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় অলস সময় পার করছেন জেলেরা। অনেক জেলে পরিবারে এখন দিনে এক বেলা আহার জোগানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অনেকে এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়েও হতাশায় রয়েছেন।

চর রমণীমোহন জেলে পল্লীর সর্দার সৌরভ মাঝি বলেন, সরকারের নির্দেশনা আমরা মেনে চললেও আমাদের দুর্দশা কেউ দেখছে না। চর রমণীমোহন জেলে পল্লীতে দুই শতাধিক জেলে পরিবার রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র মধ্যে ৪০টি পরিবার সরকারি সহায়তা পেয়েছে। বাকিরা এখনো পায়নি।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সারোয়ার জামান বলেন, সদর উপজেলার জেলেদের নিবন্ধন বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে আমরা তা তদন্ত করে জেলে নয় এমন লোকদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দ অনুযায়ী সুফলভোগীদের চাউল দেওয়া হচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ২৮ হাজার ৩৪৪ জেলের জন্য দুই হাজার ২৬৭ দশমিক ৫২ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা এরমধ্যে বিতরণও করা হয়েছে। কার্ডধারী বঞ্চিত জেলেদের পরবর্তী বরাদ্দ থেকে চাল বিতরণ করা হবে।

জেলে তালিকায় অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলে তালিকায় কিছুটা গরমিল থাকতে পারে। কারণ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে জেলেদের তালিকা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, এখনো চাল পাননি ৪৬ ভাগ জেলে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে মার্চ-এপ্রিল মাস সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এই সময়ে সরকারিভাবে জেলেদের চাল দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৪৬ শতাংশ জেলে এখনো চাল পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

জেলেদের দাবি কোনো কোনো পরিবারে দুই মাসের জন্য ৮০ কেজি চাল পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া জেলেদের তালিকায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নাম রয়েছে এ ছাড়া জনপ্রতিনিধি তাদের স্বজন ও জেলে পেশার বাইরে লোকদের অর্ন্তভুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলার ৪টিতে সরকারি তালিকাভুক্ত জেলে ৫২ হাজার ৩৫১ জন। এরমধ্যে সদরে সাত হাজার ৪৪৬ জন, রায়পুর উপজেলায় সাত হাজার ৯৯৮, রামগতি উপজেলায় ২৩ হাজার ৯৬৯ জন ও কমলনগর উপজেলায় ১২ হাজার ৯৩৮ জন জেলে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞাকালীন এইসব নিবন্ধিত জেলেদের মাথাপিছু ৮০ কেজি করে দেওয়ার কথা। তবে জেলায় ২৮ হাজার ৩৪৪ জেলের জন্য দুই হাজার ২৬৭ দশমিক ৫২ টন চাল বরাদ্দ এসেছে। বাকি ২৪ হাজার ৭ জেলের বরাদ্দইপাওয়া যায়নি।

সরেজমিন জেলেপল্লীতে দেখা যায়, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে যেতে পারছেন না জেলেরা। এই সময় বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় অলস সময় পার করছেন জেলেরা। অনেক জেলে পরিবারে এখন দিনে এক বেলা আহার জোগানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অনেকে এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়েও হতাশায় রয়েছেন।

চর রমণীমোহন জেলে পল্লীর সর্দার সৌরভ মাঝি বলেন, সরকারের নির্দেশনা আমরা মেনে চললেও আমাদের দুর্দশা কেউ দেখছে না। চর রমণীমোহন জেলে পল্লীতে দুই শতাধিক জেলে পরিবার রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র মধ্যে ৪০টি পরিবার সরকারি সহায়তা পেয়েছে। বাকিরা এখনো পায়নি।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সারোয়ার জামান বলেন, সদর উপজেলার জেলেদের নিবন্ধন বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে আমরা তা তদন্ত করে জেলে নয় এমন লোকদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দ অনুযায়ী সুফলভোগীদের চাউল দেওয়া হচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ২৮ হাজার ৩৪৪ জেলের জন্য দুই হাজার ২৬৭ দশমিক ৫২ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা এরমধ্যে বিতরণও করা হয়েছে। কার্ডধারী বঞ্চিত জেলেদের পরবর্তী বরাদ্দ থেকে চাল বিতরণ করা হবে।

জেলে তালিকায় অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলে তালিকায় কিছুটা গরমিল থাকতে পারে। কারণ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে জেলেদের তালিকা করা হয়েছে।