ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান

মসজিদে পাহারা লাগে না, হিন্দুদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে কেন পাহারা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতি-দল-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেউ যদি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাদের রুখে দিবে। ক্ষমতার মালাই খাওয়ার উদ্দেশ্য জামায়াতে ইসলামীর নেই। সমাজের গুনগত পরিবর্তন আনাই আমাদের উদ্দেশ্য।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে দিনাজপুর ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলা শাখা আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দিনাজপুরের সন্তান রুদ্রসেনসহ অন্যান্য শহীদ এবং আহতদের জন্য ‘সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠানে’ তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছর পর দিনাজপুরে প্রকাশ্যে সমাবেশ করলো জামায়াত ইসলামী।

এ সশয় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এমন একটি দেশ ও জগৎ চাই, যেই দেশে কোনরকম বৈষম্য ছাড়াই জাতি-দল-ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। এদেশের নাগরিক হিসেবে দেশে এবং প্রবাসে যেখানে যাক গর্বের সাথে বলবে আমরা বাংলাদেশী। আমরা প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। আমার বাড়ীতে ও মসজিদে যদি পাহারা না লাগে, তাহলে হিন্দু বন্ধুদের বাড়ীতে- ধর্মীয় উপাসনালয়ে কেন পাহারার প্রয়োজন হবে? আমরা এধরনের কোন বৈষম্য চাই না। আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে এর মাধ্যমেই সব বৈষম্যের কবর রচনা হোক। বাংলাদেশ একটা বৈষম্য বিহীন দেশে পরিণত হোক। দুনিয়ার মানুষ যাতে আমাদের নিয়ে গর্ব করে, আমরা সেইরকম একটি জাতি গঠন করতে চাই। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের কাছ এসেছি ঋন পরিশোধ করার জন্য।

জামায়াতের আমীর আরও বলেন, জাতি-দল-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর জনতার এই আন্দোলনকে কেউ যদি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাদের রুখে দিবে। আর জনগনের সাথে জামায়াতে ইসলামী অগ্রভাগে থাকবে। হাজারো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বিপ্লব, এই পরিবর্তন, এই আন্দোলনের সফলতা একে অবশ্যই পাহারাদারি করতে হবে। এর কোন ধরনের অপমান এই জাতি সহ্য করবে না। এই আন্দোলন বিশেষ কোন গোষ্ঠী, দলের বা সম্প্রদায়ের নয়। এখানে আপামর জনগন রাস্তায় নেমে এসে আন্দোলনকে সফল করেছে। আন্দোলনে কোন নির্দিষ্ট ধর্মের লোকেরা শুধু লড়াই করে নাই। জনগনের সকল আন্দোলনে জামায়াত সাথে থাকবে আমরা কথা দিচ্ছি।

জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর উত্তর জেলা শাখার আমীর অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলান মমতাজ উদ্দিন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল ও জাগপা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন মোল্লা, জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা আমীর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল হাকিম, পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইকবাল হোসেন, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা রবিউল ইসলাম, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য এ্যাড. মাহবুবুর রহমান ভুট্টু, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতে নায়েবে আমীর মাওলানা একেএম আফজালুল আনাম, উত্তর জেলা জামাযাতের কর্মপরিষদ সদস্য এ্যাড. মাইনুল আলম, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোকাররম হোসেন, ওলামা মাশায়েকদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সোহরাব হোসাইন, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা খোদা বকস, দিনাজপুর শহর জামায়াতের আমীর মো. রেজাউল ইসলাম, দিনাজপুর শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক, দিনাজপুর উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজাউল ইসলাম প্রমূখ।

এর আগে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান হ্যালিকপ্টারযোগে ঢাকা হতে দিনাজপুরে পৌঁছে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সুবীর কুমার সেনের ছেলে রুদ্র সেনের শহরের পাহাড়পুরস্থ বাসায় গিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

এছাড়া সমাবেশস্থ আগত শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন ও প্রত্যেক শহীদের পরিবারকে নগদ দুই লক্ষ করে টাকা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দিনাজপুর জেলার ৭ জন শহীদ হন। তারা হলেন-দিনাজপুর জেলা শহরের পাহাড়পুরের বাসিন্দা শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র সেন, বিরল কবলা এলাকার বাসিন্দা মাদরাসা শিক্ষার্থী মো. মাসুম রেজা, বিরলের নাগরবাড়ীর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আব্দুল কাফি, একই উপজেলার পাকুড়া এলাকার রিক্সাচালক জয়নাল আবেদীন, দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ এহিয়া হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মো. রবিউল ইসলাম রাহুল, চিরিরবন্দর উপজেলার লক্ষিপুর বাসুদেবপুর গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী মো. সুমন পাটোয়ারী ও বীরগঞ্জের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী মো. সেলিম উদ্দিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দিনাজপুরে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান

মসজিদে পাহারা লাগে না, হিন্দুদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে কেন পাহারা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতি-দল-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেউ যদি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাদের রুখে দিবে। ক্ষমতার মালাই খাওয়ার উদ্দেশ্য জামায়াতে ইসলামীর নেই। সমাজের গুনগত পরিবর্তন আনাই আমাদের উদ্দেশ্য।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে দিনাজপুর ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর উত্তর সাংগঠনিক জেলা শাখা আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দিনাজপুরের সন্তান রুদ্রসেনসহ অন্যান্য শহীদ এবং আহতদের জন্য ‘সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠানে’ তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছর পর দিনাজপুরে প্রকাশ্যে সমাবেশ করলো জামায়াত ইসলামী।

এ সশয় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এমন একটি দেশ ও জগৎ চাই, যেই দেশে কোনরকম বৈষম্য ছাড়াই জাতি-দল-ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। এদেশের নাগরিক হিসেবে দেশে এবং প্রবাসে যেখানে যাক গর্বের সাথে বলবে আমরা বাংলাদেশী। আমরা প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। আমার বাড়ীতে ও মসজিদে যদি পাহারা না লাগে, তাহলে হিন্দু বন্ধুদের বাড়ীতে- ধর্মীয় উপাসনালয়ে কেন পাহারার প্রয়োজন হবে? আমরা এধরনের কোন বৈষম্য চাই না। আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে এর মাধ্যমেই সব বৈষম্যের কবর রচনা হোক। বাংলাদেশ একটা বৈষম্য বিহীন দেশে পরিণত হোক। দুনিয়ার মানুষ যাতে আমাদের নিয়ে গর্ব করে, আমরা সেইরকম একটি জাতি গঠন করতে চাই। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের কাছ এসেছি ঋন পরিশোধ করার জন্য।

জামায়াতের আমীর আরও বলেন, জাতি-দল-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর জনতার এই আন্দোলনকে কেউ যদি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাদের রুখে দিবে। আর জনগনের সাথে জামায়াতে ইসলামী অগ্রভাগে থাকবে। হাজারো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বিপ্লব, এই পরিবর্তন, এই আন্দোলনের সফলতা একে অবশ্যই পাহারাদারি করতে হবে। এর কোন ধরনের অপমান এই জাতি সহ্য করবে না। এই আন্দোলন বিশেষ কোন গোষ্ঠী, দলের বা সম্প্রদায়ের নয়। এখানে আপামর জনগন রাস্তায় নেমে এসে আন্দোলনকে সফল করেছে। আন্দোলনে কোন নির্দিষ্ট ধর্মের লোকেরা শুধু লড়াই করে নাই। জনগনের সকল আন্দোলনে জামায়াত সাথে থাকবে আমরা কথা দিচ্ছি।

জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর উত্তর জেলা শাখার আমীর অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলান মমতাজ উদ্দিন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল ও জাগপা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন মোল্লা, জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা আমীর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল হাকিম, পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইকবাল হোসেন, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা রবিউল ইসলাম, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য এ্যাড. মাহবুবুর রহমান ভুট্টু, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতে নায়েবে আমীর মাওলানা একেএম আফজালুল আনাম, উত্তর জেলা জামাযাতের কর্মপরিষদ সদস্য এ্যাড. মাইনুল আলম, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোকাররম হোসেন, ওলামা মাশায়েকদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সোহরাব হোসাইন, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা খোদা বকস, দিনাজপুর শহর জামায়াতের আমীর মো. রেজাউল ইসলাম, দিনাজপুর শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক, দিনাজপুর উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজাউল ইসলাম প্রমূখ।

এর আগে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান হ্যালিকপ্টারযোগে ঢাকা হতে দিনাজপুরে পৌঁছে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সুবীর কুমার সেনের ছেলে রুদ্র সেনের শহরের পাহাড়পুরস্থ বাসায় গিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

এছাড়া সমাবেশস্থ আগত শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন ও প্রত্যেক শহীদের পরিবারকে নগদ দুই লক্ষ করে টাকা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দিনাজপুর জেলার ৭ জন শহীদ হন। তারা হলেন-দিনাজপুর জেলা শহরের পাহাড়পুরের বাসিন্দা শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুদ্র সেন, বিরল কবলা এলাকার বাসিন্দা মাদরাসা শিক্ষার্থী মো. মাসুম রেজা, বিরলের নাগরবাড়ীর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আব্দুল কাফি, একই উপজেলার পাকুড়া এলাকার রিক্সাচালক জয়নাল আবেদীন, দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ এহিয়া হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মো. রবিউল ইসলাম রাহুল, চিরিরবন্দর উপজেলার লক্ষিপুর বাসুদেবপুর গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী মো. সুমন পাটোয়ারী ও বীরগঞ্জের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী মো. সেলিম উদ্দিন।