ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রী ও এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিল

দেবব্রত দত্ত
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্ববর্তী সরকার। এরমধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশের সব ইমিগ্রেশন বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করেছে মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবারের (২২ আগস্ট) মধ্যে এই সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আলী রেজা সিদ্দিকী।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দু’সপ্তাহ পর এই সিদ্ধান্ত নিলো অন্তর্বর্তী সরকার। মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমানবলেন,এরমধ্যে অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ডিআইপি এরমধ্যে প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে । আশাকরছি খুব শিগগিরই আদেশ জারি করা হবে।

এমপিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহন করেন। এমপিদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, যেহেতু আমরা প্রাথমিক পাসপোর্টধারীর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করছি। স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্টও বাতিল হবে।

তিনি বলেন, যদি কেউ নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই প্রথমে লাল পাসপোর্টটি জমা দিতে হবে। এরপর আইন অনুযায়ী একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।

জানা গেছে, লাল পাসপোর্টটি বাতিল হয়ে গেলে, যাদের নামে মামলা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন এমন সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। এক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পাওয়ার পর তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তারপর থেকে দলের নেতাকর্মীরা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছে। পালাতে গিয়ে বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরে আটক হয়েছেন কয়েকজন। কেউ কেউ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। সেনা হেফাজতে ছিলেন ৬২৬ জন। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন স্ব-উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। আশ্রয় প্রদানকৃত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে থেকে এখন পর্যন্ত ৪ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত ৩ জন ও তাদের পরিবারের চারজন সদস্যসহ ৭ জন সেনানিবাসে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মন্ত্রী ও এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিল

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্ববর্তী সরকার। এরমধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশের সব ইমিগ্রেশন বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করেছে মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবারের (২২ আগস্ট) মধ্যে এই সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আলী রেজা সিদ্দিকী।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দু’সপ্তাহ পর এই সিদ্ধান্ত নিলো অন্তর্বর্তী সরকার। মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমানবলেন,এরমধ্যে অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ডিআইপি এরমধ্যে প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে । আশাকরছি খুব শিগগিরই আদেশ জারি করা হবে।

এমপিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহন করেন। এমপিদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, যেহেতু আমরা প্রাথমিক পাসপোর্টধারীর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করছি। স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্টও বাতিল হবে।

তিনি বলেন, যদি কেউ নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই প্রথমে লাল পাসপোর্টটি জমা দিতে হবে। এরপর আইন অনুযায়ী একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।

জানা গেছে, লাল পাসপোর্টটি বাতিল হয়ে গেলে, যাদের নামে মামলা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন এমন সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। এক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পাওয়ার পর তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তারপর থেকে দলের নেতাকর্মীরা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছে। পালাতে গিয়ে বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরে আটক হয়েছেন কয়েকজন। কেউ কেউ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। সেনা হেফাজতে ছিলেন ৬২৬ জন। পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন স্ব-উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। আশ্রয় প্রদানকৃত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে থেকে এখন পর্যন্ত ৪ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত ৩ জন ও তাদের পরিবারের চারজন সদস্যসহ ৭ জন সেনানিবাসে রয়েছে।