ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেড়েছে লোডশেডিং, বেড়েছে ভোগান্তি

আবুল কাশেম রুমন, সিলেট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটে কয়েকদিন থেকে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। সেই সাথে বেড়েছে জনসাধারণের ভোগান্তি। গত দুই দিন থেকে গরম বাড়ার সাথে সাথে সিলেটে লোডশেডিংয়ের মাত্রা মারাত্মক হারে বেড়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘণ্টায়-ঘণ্টায় লোডশেডিং।

দিনরাত নেই কোনো বিরতি। সন্ধ্যা থেকে ভোররাত। সকাল থেকে বিকাল একঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে একঘণ্টা লোডশেডিং। ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো কিছুতেই স্বস্তি মিলছে না। এ অবস্থা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোনো আশার কথা শুনাতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, বৃষ্টিতে আবহাওয়া শীতল হলে চাহিদা কমবে, সেই সাথে কমবে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে ,গরমে চাহিদা বেড়েছে কিন্তু সেই আলোকে উৎপাদন বাড়েনি। তাই সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে।

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুতের ২১০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মিলছে ১৫৪ মেগাওয়াট। এর ফলে ঘাটতি ছিল ৫৬ মেগাওয়ার্ট। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ১৪৩ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মিলছে ১০৩ মেগাওয়াট। জেলায় বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে ৪০ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির জানিয়েছেন, গরম বাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বাড়েনি। এর ফলে সরবরাহ কম থাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

এদিকে, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টিপাত বাড়লে চাহিদা কমবে, তখন লোডশেডিং কমে আসবে।

গত দুইদিন থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এমনকি নামাজের সময়ও থাকছেনা বিদ্যুৎ। এতে মসজিদে মুসল্লিদের ঘেমে নেয়ে নামাজ পড়তে হচ্ছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে এখন বেশির ভাগ মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটা করতে গিয়ে আগের মতো আলোবাতাস ঢুকার পথ বন্ধ করা হয়েছে। এসব মসজিদে নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকলে চরম বিড়ম্বনাময় অবস্থা তৈরি হয়। এক সাথে অনেক মানুষের উপস্থিতিতে মানুষের নিঃশ্বাসে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যায় প্রায়।

লোডশেডিংয়ের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর ফলে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছেনা। সারারাত থেমে থেমে লোডশেডিংয়ের পর সকালে যে একটু ঘুমাবেন তারও উপায় থাকছে না। ৬/৭ টার সময় চলে যায় বিদ্যুৎ। একঘণ্টা পর এসে একঘণ্টা থেকে আবার চলে যাচ্ছে। গরমের কারণে এই দূর্ভোগ বেড়েছে অনেক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বেড়েছে লোডশেডিং, বেড়েছে ভোগান্তি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

সিলেটে কয়েকদিন থেকে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। সেই সাথে বেড়েছে জনসাধারণের ভোগান্তি। গত দুই দিন থেকে গরম বাড়ার সাথে সাথে সিলেটে লোডশেডিংয়ের মাত্রা মারাত্মক হারে বেড়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘণ্টায়-ঘণ্টায় লোডশেডিং।

দিনরাত নেই কোনো বিরতি। সন্ধ্যা থেকে ভোররাত। সকাল থেকে বিকাল একঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে একঘণ্টা লোডশেডিং। ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো কিছুতেই স্বস্তি মিলছে না। এ অবস্থা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোনো আশার কথা শুনাতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, বৃষ্টিতে আবহাওয়া শীতল হলে চাহিদা কমবে, সেই সাথে কমবে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে ,গরমে চাহিদা বেড়েছে কিন্তু সেই আলোকে উৎপাদন বাড়েনি। তাই সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে।

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুতের ২১০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মিলছে ১৫৪ মেগাওয়াট। এর ফলে ঘাটতি ছিল ৫৬ মেগাওয়ার্ট। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ১৪৩ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মিলছে ১০৩ মেগাওয়াট। জেলায় বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে ৪০ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির জানিয়েছেন, গরম বাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বাড়েনি। এর ফলে সরবরাহ কম থাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

এদিকে, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টিপাত বাড়লে চাহিদা কমবে, তখন লোডশেডিং কমে আসবে।

গত দুইদিন থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এমনকি নামাজের সময়ও থাকছেনা বিদ্যুৎ। এতে মসজিদে মুসল্লিদের ঘেমে নেয়ে নামাজ পড়তে হচ্ছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে এখন বেশির ভাগ মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটা করতে গিয়ে আগের মতো আলোবাতাস ঢুকার পথ বন্ধ করা হয়েছে। এসব মসজিদে নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকলে চরম বিড়ম্বনাময় অবস্থা তৈরি হয়। এক সাথে অনেক মানুষের উপস্থিতিতে মানুষের নিঃশ্বাসে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যায় প্রায়।

লোডশেডিংয়ের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর ফলে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছেনা। সারারাত থেমে থেমে লোডশেডিংয়ের পর সকালে যে একটু ঘুমাবেন তারও উপায় থাকছে না। ৬/৭ টার সময় চলে যায় বিদ্যুৎ। একঘণ্টা পর এসে একঘণ্টা থেকে আবার চলে যাচ্ছে। গরমের কারণে এই দূর্ভোগ বেড়েছে অনেক।