ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিস্ময় সৃষ্টি করল ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশন

শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪ ২৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বারাসাতের উল্লা গ্রামের পোড়াঅশ্বত্ব এলাকায় বিস্ময় সৃষ্টি করল ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশন তোকে এবং এমডি আলমাস সাহার পরিচালনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েদের উৎসাহ ও অঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান-বি শেখর , যিনি প্রচুর পুরস্কারের পুরস্কৃত হয়েছেন এবং গ্রিনীজ বুকে যাহার নাম রয়েছে , বঙ্গ গৌরব পুরস্কারে ভূষিত,এবং তিন তিনবার বিশ্ব রেকর্ড করেছেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত দেবাশীষ ব্যানার্জি, আর্ট শিক্ষক এম ডি আলমাস সাহা , কবি ও সাহিত্যিক, লেখক রাজু কর্মকার, এম ডি আনিসুর রহমান ,আমিনা বিবি , এছাড়াও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কাজীম, আসানা পারভীন, নৌরিন, রিদুয়ান, আশিক সহ অন্যান্যরা।

এই প্রথম বারাসাত থেকে প্রায় বারো কিলোমিটার দূরত্বে ,প্রত্যন্ত গ্রামে, যেখানে ছেলে মেয়েদের যোগাযোগ বলতে শুধু অটো, সেই গ্রামে মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েদের অংকনে উৎসাহিত করলেন এবং তাদের জন্য একটি ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশন স্কুল প্রতিষ্ঠা করলেন। শুধু তাই নয় আজকে একটি প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করলেন এলাকার শিক্ষক এম ডি আলমাস শাহ। যার পরিকল্পনা ছিল বহুদিনের, তাদের সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েদের কিভাবে পড়াশোনার ফাঁকে, বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, আজ তাই প্রমাণ করলেন।, শুধু তাই নয়, এই সম্প্রদায়ের পরিবারের মহিলা দেরকেও উৎসাহিত করলেন একটি রান্না প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে।

প্রতিযোগিতায় প্রায় পঞ্চাশ জনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী সহ পরিবারের মহিলারা অংশগ্রহণ করেন। তাদের থেকে সেরা প্রতি বিভাগে তিনজনকে ট্রফি, সার্টিফিকেট এবং উত্তরীয় দিয়ে সম্মানিত করেন, এবং এগিয়ে চলার পথ দেখালেন। এলাকার মানুষ এরকম একটি শিক্ষককে পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানালেন।

সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে এলাকার শিক্ষক এম,ডি আলমাস জানান, সব সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলেমেয়েরা যেভাবে সমস্ত কিছুতে পারদর্শী হয় এবং সুযোগ পায়, এই মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েদের অনেক কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়।, কিন্তু আমার স্বপ্ন ছিল , আমাদের সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার ফাঁকে কিছু শেখানো । সেই চেষ্টায় আমি প্রথম পাঁচ জন ছাত্র ছাত্রীকে নিয়ে এই ফাঁকা বাগানে বসে শুরু করেছিলাম, এই প্রত্যন্ত গ্রামে, আজ দেখতে দেখতে প্রায় ৭০ জনের মতো ছাত্র-ছাত্রীকে আমি কাছে পেয়েছি এবং তাদেরকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি, যাতে তাহারা একদিন এই অঙ্কন শিক্ষা থেকে কিছু করতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ গরতে পারে। শুধু তাই নয়, যাহাতে তারা ভালো শিখে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের আওতায় আসতে পারে। যেন তারা কলারস্বিপ পায় , এটাই আমার কাছে স্বপ্ন, আজ এই ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীর বাবা মারাও এগিয়ে এসেছেন বলেই আমি এই সুন্দর অনুষ্ঠান করতে পেরেছি, সকল ছাত্র-ছাত্রী বাবা-মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য, ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যানের কাছে কৃতজ্ঞ , যে সকল অতিথিরা এবং মিডিয়ার সাংবাদিকরা আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাহাদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।, আগামী দিনে চেষ্টা করব আরো কিছু করার।

ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশন এর চেয়ারম্যান ও বঙ্গ গৌরব, গ্রীনিজ বুক, ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, শিল্পকলা পুরস্কারে ভূষিত, যিনি বিভিন্ন বিদেশে আমন্ত্রণে পাড়ি দেন। বি শেখর মহাশয় বললেন, আমি সবার আগে কৃতজ্ঞ এম ডি আলমাস এর কাছে, যিনি এই সম্প্রদায়ের পরিবারের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে এরকম একটি অনুষ্ঠান করেছেন ও এই সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার ফাঁকে অঙ্কনে উৎসাহিত করেছেন, আমি সেই শিক্ষককে কুর্নিশ জানাই, আর এই সম্প্রদায়ের পরিবারের সকল অভিভাবকদের, কারণ অভিভাবকরা যদি ছেলে মেয়েদের উৎসাহিত না করতো, তাহলে ছেলে মেয়েরা অন্ধকারেই রয়ে যেত। আজ তারা পড়াশোনার ফাঁকে আরো কিছু শেখার উৎসাহ পেল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিস্ময় সৃষ্টি করল ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

বারাসাতের উল্লা গ্রামের পোড়াঅশ্বত্ব এলাকায় বিস্ময় সৃষ্টি করল ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশন তোকে এবং এমডি আলমাস সাহার পরিচালনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েদের উৎসাহ ও অঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান-বি শেখর , যিনি প্রচুর পুরস্কারের পুরস্কৃত হয়েছেন এবং গ্রিনীজ বুকে যাহার নাম রয়েছে , বঙ্গ গৌরব পুরস্কারে ভূষিত,এবং তিন তিনবার বিশ্ব রেকর্ড করেছেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত দেবাশীষ ব্যানার্জি, আর্ট শিক্ষক এম ডি আলমাস সাহা , কবি ও সাহিত্যিক, লেখক রাজু কর্মকার, এম ডি আনিসুর রহমান ,আমিনা বিবি , এছাড়াও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কাজীম, আসানা পারভীন, নৌরিন, রিদুয়ান, আশিক সহ অন্যান্যরা।

এই প্রথম বারাসাত থেকে প্রায় বারো কিলোমিটার দূরত্বে ,প্রত্যন্ত গ্রামে, যেখানে ছেলে মেয়েদের যোগাযোগ বলতে শুধু অটো, সেই গ্রামে মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েদের অংকনে উৎসাহিত করলেন এবং তাদের জন্য একটি ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশন স্কুল প্রতিষ্ঠা করলেন। শুধু তাই নয় আজকে একটি প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করলেন এলাকার শিক্ষক এম ডি আলমাস শাহ। যার পরিকল্পনা ছিল বহুদিনের, তাদের সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েদের কিভাবে পড়াশোনার ফাঁকে, বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, আজ তাই প্রমাণ করলেন।, শুধু তাই নয়, এই সম্প্রদায়ের পরিবারের মহিলা দেরকেও উৎসাহিত করলেন একটি রান্না প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে।

প্রতিযোগিতায় প্রায় পঞ্চাশ জনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী সহ পরিবারের মহিলারা অংশগ্রহণ করেন। তাদের থেকে সেরা প্রতি বিভাগে তিনজনকে ট্রফি, সার্টিফিকেট এবং উত্তরীয় দিয়ে সম্মানিত করেন, এবং এগিয়ে চলার পথ দেখালেন। এলাকার মানুষ এরকম একটি শিক্ষককে পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানালেন।

সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে এলাকার শিক্ষক এম,ডি আলমাস জানান, সব সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলেমেয়েরা যেভাবে সমস্ত কিছুতে পারদর্শী হয় এবং সুযোগ পায়, এই মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েদের অনেক কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়।, কিন্তু আমার স্বপ্ন ছিল , আমাদের সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার ফাঁকে কিছু শেখানো । সেই চেষ্টায় আমি প্রথম পাঁচ জন ছাত্র ছাত্রীকে নিয়ে এই ফাঁকা বাগানে বসে শুরু করেছিলাম, এই প্রত্যন্ত গ্রামে, আজ দেখতে দেখতে প্রায় ৭০ জনের মতো ছাত্র-ছাত্রীকে আমি কাছে পেয়েছি এবং তাদেরকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি, যাতে তাহারা একদিন এই অঙ্কন শিক্ষা থেকে কিছু করতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ গরতে পারে। শুধু তাই নয়, যাহাতে তারা ভালো শিখে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের আওতায় আসতে পারে। যেন তারা কলারস্বিপ পায় , এটাই আমার কাছে স্বপ্ন, আজ এই ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীর বাবা মারাও এগিয়ে এসেছেন বলেই আমি এই সুন্দর অনুষ্ঠান করতে পেরেছি, সকল ছাত্র-ছাত্রী বাবা-মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য, ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যানের কাছে কৃতজ্ঞ , যে সকল অতিথিরা এবং মিডিয়ার সাংবাদিকরা আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাহাদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।, আগামী দিনে চেষ্টা করব আরো কিছু করার।

ওয়ার্ল্ড আর্ট অর্গানাইজেশন এর চেয়ারম্যান ও বঙ্গ গৌরব, গ্রীনিজ বুক, ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, শিল্পকলা পুরস্কারে ভূষিত, যিনি বিভিন্ন বিদেশে আমন্ত্রণে পাড়ি দেন। বি শেখর মহাশয় বললেন, আমি সবার আগে কৃতজ্ঞ এম ডি আলমাস এর কাছে, যিনি এই সম্প্রদায়ের পরিবারের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে এরকম একটি অনুষ্ঠান করেছেন ও এই সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার ফাঁকে অঙ্কনে উৎসাহিত করেছেন, আমি সেই শিক্ষককে কুর্নিশ জানাই, আর এই সম্প্রদায়ের পরিবারের সকল অভিভাবকদের, কারণ অভিভাবকরা যদি ছেলে মেয়েদের উৎসাহিত না করতো, তাহলে ছেলে মেয়েরা অন্ধকারেই রয়ে যেত। আজ তারা পড়াশোনার ফাঁকে আরো কিছু শেখার উৎসাহ পেল।