ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ে করেও প্রতারিত হয়েছেন সেই জল্লাদ শাহজাহান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪ ১১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কারামুক্ত হয়েও ভালো নেই আলোচিত জল্লাদ মো. শাহজাহান ভুঁইয়া। বিয়ে করেও প্রতারিত হয়েছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন,কারাগার থেকে বের হলেও তার থাকার জায়গা ও কর্মসংস্থান নেই। ৪৪ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেলেও মানবেতর জীবনযাপন করছি।

তিনি বলেন, বিয়ে করেও প্রতারিত হয়েছি। কাবিনের পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে তার কাছে থাকা দশ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় স্ত্রী। পরে মামলা দায়ের করেন। পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহায়তার আহ্বান করছি।

৭৩ বছর বয়সী শাহজাহানের কয়েদি নম্বর ছিল ২৫৮৯/এ। মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান জল্লাদ ছিলেন।

১৯৯১ সালের ১৭ ডিসেম্বর শাহজাহান প্রথম গ্রেপ্তার হন। এরপর তাকে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে নেয়া হয়। দুটি মামলায় তার ৪২ বছরের সাজা হয়। পাশাপাশি সেসব মামলায় জরিমানা হয়েছিল ১০ হাজার টাকা।

কারাগারের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করতে জল্লাদের দায়িত্ব পালনের জন্য তার সাজা ১০ বছর মওকুফ করা হয়। পাশাপাশি শাহজাহানের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষ তার জরিমানার টাকা পরিশোধ করে দেয়। দীর্ঘ ৩১ বছর ৬ মাস দুই দিন পর বন্দি জীবন থেকে তিনি মুক্ত হন।

কারা তথ্যানুযায়ী, জল্লাদ শাহজাহান ২০০১ সাল থেকে ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন ৬ জন, যুদ্ধাপরাধী ছিলেন ৪ জন, জেএমবি ছিলেন ২ জন। এছাড়া অন্যান্য আলোচিত মামলার আসামি ছিলেন ১৪ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিয়ে করেও প্রতারিত হয়েছেন সেই জল্লাদ শাহজাহান

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

কারামুক্ত হয়েও ভালো নেই আলোচিত জল্লাদ মো. শাহজাহান ভুঁইয়া। বিয়ে করেও প্রতারিত হয়েছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন,কারাগার থেকে বের হলেও তার থাকার জায়গা ও কর্মসংস্থান নেই। ৪৪ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেলেও মানবেতর জীবনযাপন করছি।

তিনি বলেন, বিয়ে করেও প্রতারিত হয়েছি। কাবিনের পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে তার কাছে থাকা দশ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় স্ত্রী। পরে মামলা দায়ের করেন। পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহায়তার আহ্বান করছি।

৭৩ বছর বয়সী শাহজাহানের কয়েদি নম্বর ছিল ২৫৮৯/এ। মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান জল্লাদ ছিলেন।

১৯৯১ সালের ১৭ ডিসেম্বর শাহজাহান প্রথম গ্রেপ্তার হন। এরপর তাকে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে নেয়া হয়। দুটি মামলায় তার ৪২ বছরের সাজা হয়। পাশাপাশি সেসব মামলায় জরিমানা হয়েছিল ১০ হাজার টাকা।

কারাগারের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করতে জল্লাদের দায়িত্ব পালনের জন্য তার সাজা ১০ বছর মওকুফ করা হয়। পাশাপাশি শাহজাহানের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষ তার জরিমানার টাকা পরিশোধ করে দেয়। দীর্ঘ ৩১ বছর ৬ মাস দুই দিন পর বন্দি জীবন থেকে তিনি মুক্ত হন।

কারা তথ্যানুযায়ী, জল্লাদ শাহজাহান ২০০১ সাল থেকে ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন ৬ জন, যুদ্ধাপরাধী ছিলেন ৪ জন, জেএমবি ছিলেন ২ জন। এছাড়া অন্যান্য আলোচিত মামলার আসামি ছিলেন ১৪ জন।