‘বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল’
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল। গত বছর ২৮ অক্টোবর জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্ঠাকে বিএনপি হাজির করেছিলো। ভুয়া উপদেষ্ঠা যখন বিএনপি কার্যালয়ে, তখন দেখি শুধু ইংরেজি বলে।
তিনি বলেন, তার আগে বিএনপি কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিলো। সেই সময় বলেছিলো ভারতের অমিত শাহ ফোন করেছিলো। অমিত শাহ’র অফিস থেকে বলা হলো তিনি কাউকে ফোন করেননি, যে আওয়াজ ছাড়া হয়েছিলো সেটা অমিত শাহ’র নয়। আসলে দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন দেখি মাঝেমধ্যে দেখি জিএম কাদেরেরও মাথা খারাপ হয়ে যায়।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের আগে দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন এম্বেসিতে ঘুরে বেড়াতো। আর দেন দরবার করতো, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়, কোন লাভ হয়নি। নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোটও দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচন্ড ঠান্ডা না থাকত তাহলে আরও বেশি মানুষ ভোট দিতো। আর বিএনপি যদি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা, মানুষের উপর হামলা, ট্রেনের মধ্যে শিশুসন্তানসহ পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে হত্যা না করতো তাহলে ভোটের হার ৬০ শতাংশের বেশি হতো। গত দু’তিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিওবা সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোন হুমকি ছিল না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। নির্বাচন চমৎকার না হলে পৃথিবীর ৮০টা দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্র প্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতো না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, বিএনপি নেতা ড. মঈন খান এখন জ্যোতিষীর দায়িত্বও পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্য সচিব ছিলো। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাওয়ার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিলো, যাতে দেশে খাদ্য সঙ্কট তৈরী হয়। খাদ্য সঙ্কট তৈরী করে বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আবদুল মোমেন খানের ভুমিকা ছিলো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংরাদেশ সফরে এসেছিলেন, তারা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই সফরে এসেছিলেন। এবং আমার সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে কিভাবে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাব, সেটি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে, শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা, আর কোনো বিকল্প নেই। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। এবং সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে।