ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা, বছরে ৬ হাজার টাকা পাবে শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪ ১৩০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ উদ্বোধন করেন। আইডিআরএর তত্ত্বাবধানে এ বীমা পরিকল্পটি জীবন বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে দুই বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। এরপর ২০২৩ সালে উন্মুক্ত করা হয়। বর্তমানে সব জীবনবীমা কোম্পানির মাধ্যমেই এই পলিসির আওতায় আসা সম্ভব।

দরিদ্রতার কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার’ আওতায় এনে তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করতে চায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার’ আওতায় আনতে চায় সংস্থাটি। উদ্যোগ বাস্তবায়নে দেশের সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

বীমার আওতায় একজন শিক্ষার্থীকে বছরে প্রিমিয়াম দিতে হবে ৮৫ টাকা। এর বিপরীতে মাসে ৫০০ টাকা অর্থাৎ বছরে ৬ হাজার টাকা বৃত্তি পাবে।

চিঠিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পরিকল্পটির উদ্দেশ্য হলো দেশের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা। এর মাধ্যমে ৩ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীর মা-বাবা বা আইনগত অভিভাবক এ বীমার আওতায় আসতে পারবেন।

বছরে ৮৫ টাকা প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে এ বীমার আওতায় আসা যাবে। পলিসি চালু থাকা অবস্থায় কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যুতে শিক্ষার্থীর বয়স ১৭ বছর হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি দেওয়া হবে। এ বৃত্তি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সম্পৃক্ত থাকে জেলা প্রশাসন বা তার অধীন কার্যালয়গুলো। জেলা প্রশাসকেরা উদ্যোগ নিলে জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের এ শিক্ষা বীমার আওতায় আনা সহজ হবে। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় অভিভাবকের অবর্তমানে বা অক্ষমতায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হবে না।

বেসরকারি জীবনবীমা কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে এই বীমা পলিসির আওতায় এসেছে। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সব স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের এ পলিসির আওতায় আনা হয়েছে। এ সংখ্যা প্রায় দুই লাখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা, বছরে ৬ হাজার টাকা পাবে শিক্ষার্থী

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ উদ্বোধন করেন। আইডিআরএর তত্ত্বাবধানে এ বীমা পরিকল্পটি জীবন বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে দুই বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। এরপর ২০২৩ সালে উন্মুক্ত করা হয়। বর্তমানে সব জীবনবীমা কোম্পানির মাধ্যমেই এই পলিসির আওতায় আসা সম্ভব।

দরিদ্রতার কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার’ আওতায় এনে তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করতে চায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমার’ আওতায় আনতে চায় সংস্থাটি। উদ্যোগ বাস্তবায়নে দেশের সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

বীমার আওতায় একজন শিক্ষার্থীকে বছরে প্রিমিয়াম দিতে হবে ৮৫ টাকা। এর বিপরীতে মাসে ৫০০ টাকা অর্থাৎ বছরে ৬ হাজার টাকা বৃত্তি পাবে।

চিঠিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পরিকল্পটির উদ্দেশ্য হলো দেশের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা। এর মাধ্যমে ৩ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীর মা-বাবা বা আইনগত অভিভাবক এ বীমার আওতায় আসতে পারবেন।

বছরে ৮৫ টাকা প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে এ বীমার আওতায় আসা যাবে। পলিসি চালু থাকা অবস্থায় কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যুতে শিক্ষার্থীর বয়স ১৭ বছর হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি দেওয়া হবে। এ বৃত্তি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সম্পৃক্ত থাকে জেলা প্রশাসন বা তার অধীন কার্যালয়গুলো। জেলা প্রশাসকেরা উদ্যোগ নিলে জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের এ শিক্ষা বীমার আওতায় আনা সহজ হবে। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় অভিভাবকের অবর্তমানে বা অক্ষমতায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হবে না।

বেসরকারি জীবনবীমা কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে এই বীমা পলিসির আওতায় এসেছে। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সব স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের এ পলিসির আওতায় আনা হয়েছে। এ সংখ্যা প্রায় দুই লাখ।