ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ভাইভা হলেও ফল প্রকাশ করা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে এই দুই বিভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৬ হাজার ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নিতে আর কোনো আইনি বাধা রইলো না।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।

তবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না। একই সাথে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য সিআইডিকে যুক্ত করতে বলেছেন আদালত।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) গত মঙ্গলবার স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরীক্ষা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

এছাড়া, নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এর আগে চলতি বছরের ২৯ মার্চ এই ধাপে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। এই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নফাঁসের পরও ২১ এপ্রিল রাতে ফল প্রকাশ হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এই পরীক্ষা বাতিল চেয়ে ১৫ পরীক্ষার্থী রিট দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ভাইভা হলেও ফল প্রকাশ করা যাবে না

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে এই দুই বিভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৬ হাজার ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নিতে আর কোনো আইনি বাধা রইলো না।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।

তবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না। একই সাথে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য সিআইডিকে যুক্ত করতে বলেছেন আদালত।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) গত মঙ্গলবার স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরীক্ষা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

এছাড়া, নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এর আগে চলতি বছরের ২৯ মার্চ এই ধাপে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। এই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নফাঁসের পরও ২১ এপ্রিল রাতে ফল প্রকাশ হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এই পরীক্ষা বাতিল চেয়ে ১৫ পরীক্ষার্থী রিট দায়ের করেন।