ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে শেখ হাসিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অফিসিয়াল পাসপোর্ট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সেই সাথে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ও এমপিদের অফিসিয়াল পাসপোর্টও বাতিলের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন তিনি। তবে তার কাছে বৈধ সরকারি পাসপোর্ট রয়েছে। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের সরকারি পাসপোর্ট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছি। কারণ প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের মাধ্যমে মন্ত্রিসভা এরমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আইন অনুযায়ী তারা আর অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী নন।

এই আরও কর্মকর্তা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত একটি বৈধ সরকারি পাসপোর্ট বহন করছেন। তবে দু-একদিনের মধ্যে তা বাতিল করার প্রক্রিয়া চলছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লির উপকণ্ঠে একটি আধাসামরিক বাহিনীর অতিথিনিবাস বা ‘সেফ হাউসে’ অবস্থান করছেন। পশ্চিমা কয়েকটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।

তবে শেখ হাসিনা ঠিক কোন ‘ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসে’ ভারতে রয়েছেন, সে বিষয়ে ভারত সরকার সম্পূর্ণ নীরব। অর্থাৎ তিনি কোনো বিশেষ ভিসায় ভারতে অবস্থান করছেন, নাকি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে- এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকার এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি।

আর এ কারণে প্রশ্ন উঠছে, ভারতে এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার অবস্থানের অভিবাসনগত বৈধতা ঠিক কী এবং সেই স্ট্যাটাস কতদিন পর্যন্ত বৈধ থাকতে পারে?

ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানায়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার যে ‘ডিপ্লোম্যাটিক/অফিশিয়াল’ পাসপোর্ট ছিলো তা এখনো বৈধ। আর সেই পাসপোর্টের সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস কোনো ভিসা ছাড়াই অনায়াসে ভারতে অবস্থান করতে পারবেন।

এর ফলে এ সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট ‘রিভোকড’ বা বাতিল হলেও অন্তত ভারতে তার বর্তমান অবস্থান সম্পূর্ণ আইনসম্মত। ভারতের এ ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো ব্যবস্থা নেয়ারও প্রয়োজন নেই বলে জানান ওই কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে শেখ হাসিনার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অফিসিয়াল পাসপোর্ট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সেই সাথে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ও এমপিদের অফিসিয়াল পাসপোর্টও বাতিলের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন তিনি। তবে তার কাছে বৈধ সরকারি পাসপোর্ট রয়েছে। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের সরকারি পাসপোর্ট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছি। কারণ প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের মাধ্যমে মন্ত্রিসভা এরমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আইন অনুযায়ী তারা আর অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী নন।

এই আরও কর্মকর্তা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত একটি বৈধ সরকারি পাসপোর্ট বহন করছেন। তবে দু-একদিনের মধ্যে তা বাতিল করার প্রক্রিয়া চলছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লির উপকণ্ঠে একটি আধাসামরিক বাহিনীর অতিথিনিবাস বা ‘সেফ হাউসে’ অবস্থান করছেন। পশ্চিমা কয়েকটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।

তবে শেখ হাসিনা ঠিক কোন ‘ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসে’ ভারতে রয়েছেন, সে বিষয়ে ভারত সরকার সম্পূর্ণ নীরব। অর্থাৎ তিনি কোনো বিশেষ ভিসায় ভারতে অবস্থান করছেন, নাকি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে- এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকার এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি।

আর এ কারণে প্রশ্ন উঠছে, ভারতে এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার অবস্থানের অভিবাসনগত বৈধতা ঠিক কী এবং সেই স্ট্যাটাস কতদিন পর্যন্ত বৈধ থাকতে পারে?

ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানায়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার যে ‘ডিপ্লোম্যাটিক/অফিশিয়াল’ পাসপোর্ট ছিলো তা এখনো বৈধ। আর সেই পাসপোর্টের সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস কোনো ভিসা ছাড়াই অনায়াসে ভারতে অবস্থান করতে পারবেন।

এর ফলে এ সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট ‘রিভোকড’ বা বাতিল হলেও অন্তত ভারতে তার বর্তমান অবস্থান সম্পূর্ণ আইনসম্মত। ভারতের এ ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো ব্যবস্থা নেয়ারও প্রয়োজন নেই বলে জানান ওই কর্মকর্তারা।