রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে দাবি জয়ের
পদত্যাগ করেননি শেখ হাসিনা, তিনি এখনও প্রধানমন্ত্রী
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দেশত্যাগের আগে পদত্যাগ করেননি শেখ হাসিনা । সংবিধান মতে তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী । আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবে।
তিনি বলেন, ‘ আমার মা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি । সেই সময় তিনি পাননি । একটি বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার । কিন্তু এরপর আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হতে লাগল এবং তখন আর সময় ছিল না । এমনকি আমার মা গোছানোর সময়টুকুও পায়নি । সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ।’
জয় জানান, প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ না করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে । শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূস । এই সরকারের মেয়াদ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি । তবে আগামী তিন মাসের ভেতর বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চাইছেন জয় । যেখানে অংশ নেবে আওয়ামী লীগও ।
a
রয়টার্সের দেওয়া তথ্যমতে, আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ জনের মতো । তবে ছাত্রদের ওপর তার মা গুলি চালানোর কোন নির্দেশনা দেননি । শেখ হাসিনা দেশে ফিরে যেকোন বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলেও জানান জয় ।
তিনি বলেন, ‘ গ্রেপ্তারের হুমকিতে আমার মা আগেও কখনো ভয় পাননি । আমার মা ভুল কিছু করেননি । শুধু তার সরকারের লোকেরা বেআইনি কাজ করেছেন, এর মানে এই নয় যে, আমার মায়ের নির্দেশেই কাজগুলো করেছেন তারা । এর মানে এই নয় যে, আমার মা এসবের জন্য দায়ী । যারা এর জন্য দায়ী, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিত । আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা করার জন্য আমার মা কাউকে আদেশ দেননি । পুলিশ সহিংসতা ঠেকানোর চেষ্টা করে গেছে কিন্তু কিছু পুলিশ অফিসার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছেন ।’
প্রতিশোধ না নেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যকেও স্বাগত জানান জয় । তিনি বলেন, ‘ আমি আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে । না হলে, আমরা বিরোধী দল হব । যেটাই হোক ভালো হবে । আমি মিসেস খালেদা জিয়ার ভাষণ শুনে খুশি হয়েছি । আসুন আমরা অতীতকে ভুলে যাই । আমরা যেন প্রতিহিংসার রাজনীতি না করি । ঐক্যবদ্ধ সরকার হোক বা না হোক, আমাদের একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে । বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন করতে আমি বিএনপিকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী । তাদের সঙ্গে কাজ করে নিশ্চিত করতে হবে যে, আমাদের শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে যেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে । আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতিতে আলাপ- আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আমরা তর্ক করতে পারি, অসম্মতিতে একমত হতে পারি এবং সবসময় একটি সমঝোতা পথ খুঁজে পেতে পারি ।’
আওয়ামী লীগ চাইলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ভাববেন জয়, ‘ এই মেয়াদ শেষে এমনিতেই আমার মা রাজনীতি থেকে অবসরে যেত । যদি দল আমাকে চায়, আমি অবশ্যই সেটা বিবেচনায় রাখব ।’