নবীজির শানে কটূক্তিকারীর গ্রেফতার দাবিতে মুহাম্মদপুরে বিক্ষোভ (ভিডিও)
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ ২০১ বার পড়া হয়েছে
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মোবারক শানে কটুক্তিকারী ভারতের সনাতন ধর্মের পুরোহিত রামগিরি ও তার সমর্থনকারী বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়ণ রানের গ্রেফতার ও মৃত্যুদন্ডের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মুহাম্মদপুর এলাকাবাসী ও ছাত্র-জনতা।
শনিবার (৫ আঅক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মুহাম্মদপুর টাউন হল চত্বরে সম্প্রতি ভারতে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জনসাধারণের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ-সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের মাঝে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য ভারত একেক সময় একেক ইস্যু তৈরি করে। আমরা ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই রাসূল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করে কেউ কোনোদিন ছাড় পায়নি। যারা এমন অসভ্য খেলা শুরু করেছে তার খেসারত দিতে প্রস্তুত হোন। যারা প্রিয়নবীর ইজ্জতের বরখেলাপ করবে আমরা তাদের ছাড় দিতে রাজি নই।
তারা আরো বলেন, ভারত সরকারকে বলছি অনতিবিলম্বে এই কুলাঙ্গারদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। তা নাহলে ভারত ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। ভারত সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তার সাথে আমাদের দেশের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। যে রাষ্ট্র নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শানে মানহানীকারীকে প্রশ্রয় দেয়, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না।
বক্তারা বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে দেশে নতুন কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো দেশে যেন কেউ রাসূলকে নিয়ে কটুক্তি না করতে পারে সেজন্য সংসদে আইন প্রণয়ন করুন। নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের প্রাণের থেকেও প্রিয়। উনার পবিত্র শানে বিন্দু থেকে বিন্দুতম বেয়াদবী আমরা মেনে নেব না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই সে কটূক্তিকারী থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে আমরা চাই অবিলম্বে সেই সেই কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করে তার শরঈ শাস্তি জারি করা হোক।
তারা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসবও তার তার। দূর্গা পূজাকে সার্বজনিন বলা যাবে না। রাস্তা বন্ধ করে যত্রতত্র পূজা নয় করা চলবে না।
পূজাকে কেন্দ্র করে কোন মন্দিরে মদ খাওয়া চলবে না। উন্মুক্ত পানিতে পূজার মূর্তি ডুবিয়ে পানি দূষণ চলবে না। দূর্গা পূজার ছুটি সাধারণ নয়, বরং ঐচ্ছিক করতে হবে। ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে যারা ‘অখণ্ড ভারত’ চাইবে, তাদের গ্রেফতার করে, শাস্তি দাও ভারতীয় কুলাঙ্গার রামগিরির একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হউক।