তৃতীয় সন্তান মেয়ে, তাই বিক্রি করে দিলেন বাবা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় টাকার বিনিময়ে দত্তক দেয়া সেই নবজাতক কন্যা শিশুটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হলো মায়ের কোলে। বুধবার (৩ জুলাই) রাঙ্গুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উল্লাহর উপস্থিতিতে কন্যা শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কুলালপাড়া গ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. সাদ্দাম ও স্ত্রী সুমি আক্তারের সংসারে দুটি কন্যা সন্তানের পর তৃতীয় সন্তানটিও মেয়ে হয়। পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বার কন্যাসন্তান জন্ম নেয়ায় অসন্তুষ্ট বাবা সাদ্দাম। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন শিশু মেয়ে বাচ্চাটিকে।
চন্দ্রঘোনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাচ্চাটিকে তুলে দেয়ার সময় বিষয়টি দেখেন অন্য এক রোগীকে রক্ত দিতে যাওয়া পারভেজ হোসাইন নামের এক যুবক। তিনি ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর বাচ্চাটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু বলেন, অভাবের কারণে সাদ্দাম হাসপাতালের খরচ বাবদ কিছু সুবিধা নিয়ে মেয়েটিকে দত্তক দিয়েছিলেন। পরে স্থানীয় কয়েকজন টাকাগুলো অনুদান দেন।
শিশুটির বাবা মো. সাদ্দাম বলেন, হাসপাতালের বিল এসেছে ১২ হাজার। ওষুধ খরচ এবং চিকিৎসকের বিল বাবদ আরো ১০ হাজার টাকা লেগেছে। যা আমার কাছে ছিলো না। আমার আরো দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তৃতীয় বাচ্চাটাও মেয় সন্তান হওয়ায় বাধ্য হয়ে চিকিৎসা খরচ জোগাতে বাচ্চাকে খরচের বিনিময়ে নিঃসন্তান আত্মীয়কে দিয়েছি। এখন বাচ্চাকে ফেরত পেয়ে আমি অনেক খুশি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ জুন রাতে অন্তঃসত্ত্বা সুমি ভর্তি হন চন্দ্রঘোনা জেনারেল হাসপাতালে। এরপর ২৯ জুন দুপুরে সিজারের মাধ্যমে কন্যাসন্তান জন্ম দেন তিনি। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার (২ জুন) বাড়ি যাওয়ার ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।