ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছেলেকে ত্যাজ্য করলেন ইউপি সদস্য

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:২৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪ ১১১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার লরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম একমাত্র পুত্র মো. সাগরকে (২৫) কে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ত্যাজ্য করেছেন।

১৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের আইনজীবী ফখরুল ইসলাম মাহমুদের মাধ্যমে ঘোষিত হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, মো. সাগর ঔরসজাত ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের গর্ভজাত সন্তান। সে বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে সমাজের অসৎ চরিত্রের লোকজনের সঙ্গে জড়িয়ে নিজের চরিত্রের অধঃপতন ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান, আমার ৬ মেয়ে ও সাগর একমাত্র আমার পুত্র। তাকে ভালো পথে আনার জন্য নানান ভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ৩-৪ টি বিয়ে করে কারোর সাথে সংসার করেনি। সর্বশেষ ২ সন্তানেন এক জননীকে নিয়ে পালিয়েছে। এলাকায় মুখ দেখাতে পারছিনা। আমার বহু টাকা পয়সা নষ্ট করেছে সে। এখন বিভিন্ন চুরি ও ডাকাতি সাথে জড়িতদের সাথে চলাফেরা করে। তার অপকর্ম দিন দিন বাড়ার কারণে বাধ্য হয়ে ত্যাজ্য করেছি। তবে ভবিষ্যতে যদি সব খারাপ কাজ ছেড়ে ভালো হয়ে ফিরে আসে তা হলে বিবেচনা করবো।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়, সাগরের এসব কাজের কারণে সিরাজকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে। এসব ছাড়াও হত্যার হুমকির কারণে লক্ষ্মীপুর কোর্টে সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে সাগরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত তাঁকে জেলে পাঠায়। পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিলে ছেলেকে তিনি জমিনে মুক্ত করেন। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে আগের মতোই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সে।

এ ঘোষণার পর সাগরের কর্মকান্ডের জন্য সিরাজ বা তার পরিবারের কোনো সদস্য দায়ী থাকবে না। তা ছাড়া তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের আর কোনো সম্পর্ক থাকল না।

অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আইনে এ ধরনের কোনো বিধান নেই। তবে যেহেতু সিরাজুল ইসলাম ছেলের অপকর্মের কারণে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন, তাই অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে তিনি এটি করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ছেলেকে ত্যাজ্য করলেন ইউপি সদস্য

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:২৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার লরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম একমাত্র পুত্র মো. সাগরকে (২৫) কে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ত্যাজ্য করেছেন।

১৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের আইনজীবী ফখরুল ইসলাম মাহমুদের মাধ্যমে ঘোষিত হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, মো. সাগর ঔরসজাত ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের গর্ভজাত সন্তান। সে বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে সমাজের অসৎ চরিত্রের লোকজনের সঙ্গে জড়িয়ে নিজের চরিত্রের অধঃপতন ঘটিয়েছে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান, আমার ৬ মেয়ে ও সাগর একমাত্র আমার পুত্র। তাকে ভালো পথে আনার জন্য নানান ভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ৩-৪ টি বিয়ে করে কারোর সাথে সংসার করেনি। সর্বশেষ ২ সন্তানেন এক জননীকে নিয়ে পালিয়েছে। এলাকায় মুখ দেখাতে পারছিনা। আমার বহু টাকা পয়সা নষ্ট করেছে সে। এখন বিভিন্ন চুরি ও ডাকাতি সাথে জড়িতদের সাথে চলাফেরা করে। তার অপকর্ম দিন দিন বাড়ার কারণে বাধ্য হয়ে ত্যাজ্য করেছি। তবে ভবিষ্যতে যদি সব খারাপ কাজ ছেড়ে ভালো হয়ে ফিরে আসে তা হলে বিবেচনা করবো।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়, সাগরের এসব কাজের কারণে সিরাজকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে। এসব ছাড়াও হত্যার হুমকির কারণে লক্ষ্মীপুর কোর্টে সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে সাগরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত তাঁকে জেলে পাঠায়। পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিলে ছেলেকে তিনি জমিনে মুক্ত করেন। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে আগের মতোই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সে।

এ ঘোষণার পর সাগরের কর্মকান্ডের জন্য সিরাজ বা তার পরিবারের কোনো সদস্য দায়ী থাকবে না। তা ছাড়া তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের আর কোনো সম্পর্ক থাকল না।

অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আইনে এ ধরনের কোনো বিধান নেই। তবে যেহেতু সিরাজুল ইসলাম ছেলের অপকর্মের কারণে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন, তাই অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে তিনি এটি করেছেন।