ঘূর্ণিঝড় রেমালে আতঙ্কিত মানুষ, আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে রোববার (২৬ মে) সকাল থেকেই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। মোংলা, শরণখোলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জে নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে দেয়া দিয়েছে আতঙ্ক।
এ অবস্থায় রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া রেমালের প্রভাবে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবিরা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিচ্ছে।
এদিকে, বাগেরহাটে রোববার দুপুর থেকেই বইতে শুরু করে ঝড়ো হাওয়া। জেলার সব নদ-নদীর পানি ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা,রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নঞ্চল ৫ থেকে ৬ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী উপজেলাগুলোর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে দুই লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
এছাড়া তিন হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৮৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ১০টি কন্টোল রুম।
দুর্যোগ পরবর্তী মোকাবেলায় বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ৬৪৩ টন চাল ও ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জেলার নয় উপজেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।