কাঁচাবাজারে ঊর্ধ্বগতি, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫২:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধায় হঠাৎ প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের কাঁচা বাজারে। ফলে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের। সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতিতে জন্য নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জীবিকা নির্বাহে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
এর বিপরীতে বিক্রেতাদের আক্ষেপ আগের মতো বিক্রি নাই অনেকে কাঁচা বাজার না করেই ফেরত চলে যাচ্ছে। কেউ বাধ্য হয়ে শুধুমাত্র আলু, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ বাজার করে নিয়ে যাচ্ছেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। গত কয়েকদিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচ, ডিম ও সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা।
দু’সপ্তাহ আগে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, সেখানে দু’সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি প্রায় ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা। এছাড়া প্রতি কেজি আলু ৫০-৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, টমেটো ২৪০ টাকা, কচুমুখী ৬০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা, বেগুন ১০০-১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, মূলা ৮০ টাকা, ওল কচু ৬০ টাকা, ঝিঙগা ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১১০, পেপে ৪০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৫০ টাকা ও কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গোবিন্দগন্জ পৌর বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী নয়ন মিয়া বলেন, প্রচুর বৃষ্টিপাত ও পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে দাম আরও বাড়বে এমনটা আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া পরিবহন খরচও বেড়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়েই দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে বিক্রিও কমেছে।
অন্যদিকে, বাজারে ফার্মের মুরগীর ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আর মুদি দোকানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। যেখানে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে ডিমের ডজন ছিল ১৫০ টাকা।
ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বউ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বেশি, তাই স্বাভাবিকভাবে খুচরা বাজারেও দাম বেশি।
ক্রেতারা বলছেন,সরকার পরিবর্তন ও প্রচুর বৃষ্টির কারণে বেড়ে যাওয়ায় কাঁচা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন দ্রব্যের দাম লাগামহীন। সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের উপার্জন বাড়েনি। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এত বেশি যে বাজারে যেতেই ভয় হয়। আমরা সাধারণ মানুষগুলো আছি মহাবিপদে। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এ সময় সাধারণ ক্রেতারা বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান।
পৌর মাছ বাজারে ছোট মাছ নেই বললেই চলে। যা আছে তাও সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আবার বড় মাছের দাম অনেক বেশি। ইলিশের ভরা মৌসুমেও দাম ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রায় প্রতিটি সবজি ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকার নিচে পাওয়ায় যাচ্ছে না। এছাড়াও বেড়েছে সকল প্রকার চাল ও তেলের দাম।