ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্ণফুলীতে বিধ্বস্ত সেই বিমান ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১১ ঘণ্টা পর বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটিতে দু’জন বৈমানিক ছিলেন। তারা হলো- উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। তবে দুর্ঘটনায় পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ মারা যান।

চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে, আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিমানে আগুন ধরার পর বড় ধরনের কোনো ক্ষতি এড়ানোর জন্য দুই পাইলট দক্ষতার সাথে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় যেতে সক্ষম হয়।

আরও বলা হয়েছে, বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়ন করে। প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় বিমনাটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

দুর্ঘটনার সময় বৈমানিক উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুটের মাধ্যমে নদীতে অবতরণ করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কর্ণফুলীতে বিধ্বস্ত সেই বিমান ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১১ ঘণ্টা পর বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটিতে দু’জন বৈমানিক ছিলেন। তারা হলো- উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। তবে দুর্ঘটনায় পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ মারা যান।

চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে, আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিমানে আগুন ধরার পর বড় ধরনের কোনো ক্ষতি এড়ানোর জন্য দুই পাইলট দক্ষতার সাথে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় যেতে সক্ষম হয়।

আরও বলা হয়েছে, বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়ন করে। প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় বিমনাটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

দুর্ঘটনার সময় বৈমানিক উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুটের মাধ্যমে নদীতে অবতরণ করেন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।