ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওসমানী হাসপাতালেও ঢুকে পড়লো বন্যার পানি

আবুল কাশেম রুমন, সিলেট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকছে। এতে বাসা-বাড়ি, অফিস, স্কুল ও কলেজে হাটু পানি দেখা দিয়েছে। এদিকে সিলেটের একমাত্র সরকারি সর্ববৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র সিলেট ওসমানী হাসপাতালে সোমবার (৩ জুন) টানা ভারী বর্ষণে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করে।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ওসমানী হাসপাতালের ফটক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবন, কলেজ ফটক, ছাত্রীনিবাস ও ছাত্রাবাসেও পানি উঠে গেছে। এর ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনদের পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানা যায়, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নীচ তলায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে বিপুল অর্থের সম্পদ নষ্ট হয়েছে। হাসপাতালের ঔষধপত্র, ব্যবহার্য্য সামগ্রী, রোগীদের আসবাবপত্র, খাট, আলমিরা নষ্ট হয়েছে। নষ্ট হয়েছে লিফটের কেবল নেটওয়ার্কসহ সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ লাইন।

বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭ নং ও ২৬ নং নিউরোসার্জারী, অর্থোপেডিক্স ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল ওয়ার্ড। এ দুই ওয়ার্ডে নিউরোসার্জারী বিভাগের প্রায় ১৪০ জন, অর্থোপেডিক্সের প্রায় ৪০ জন ও ম্যাক্সিলোফেসিয়ালের (দন্ত বিভাগের) ২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে অনেকেই মেঝেতে শয্যাশায়ী যাদের বাধ্য হয়ে অন্য রোগীর বিছানায় অবস্থান নিতে হয়।

এছাড়া, হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লক, ৩০নং ওয়ার্ড, ফার্মেসী, ৩১নং ওয়ার্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ, অফিস, শেখ রাসেল স্ক্যানু সেন্টার, এম.আর.আই, সিটিস্ক্যান সেন্টার, প্যাথলজী ও হেমাটোলজী বিভাগসহ নিচ তলার সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনেক কিছুই পানিতে নষ্ট হয় বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।

অপরদিকে, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের নীচ তলার অধ্যক্ষের কক্ষ উপাধ্যক্ষের কক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কক্ষ, অডিটোরিয়াম,ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ, ল্যাব, এনাটমী বিভাগসহ সংলগ্ন কক্ষ সমূহে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন জিনিসপত্র। মেডিকেল কলেজের নিচ তলার সোনালী ব্যাংকেরও অনেক উপকরণ নষ্ট হয়।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নিচ তলায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালের তিনটি ওয়ার্ডে পানি ঢুকেছে। এতে চিকিৎসাসেবায় ব্যাঘাত ঘটছে। সোমবারের (৩ জুন) থেকে পরীক্ষা ও ক্লাস বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নিচতলা পুরোটাতেই পানি ঢুকেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ওসমানী হাসপাতালেও ঢুকে পড়লো বন্যার পানি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকছে। এতে বাসা-বাড়ি, অফিস, স্কুল ও কলেজে হাটু পানি দেখা দিয়েছে। এদিকে সিলেটের একমাত্র সরকারি সর্ববৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র সিলেট ওসমানী হাসপাতালে সোমবার (৩ জুন) টানা ভারী বর্ষণে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করে।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ওসমানী হাসপাতালের ফটক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবন, কলেজ ফটক, ছাত্রীনিবাস ও ছাত্রাবাসেও পানি উঠে গেছে। এর ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনদের পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানা যায়, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নীচ তলায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে বিপুল অর্থের সম্পদ নষ্ট হয়েছে। হাসপাতালের ঔষধপত্র, ব্যবহার্য্য সামগ্রী, রোগীদের আসবাবপত্র, খাট, আলমিরা নষ্ট হয়েছে। নষ্ট হয়েছে লিফটের কেবল নেটওয়ার্কসহ সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ লাইন।

বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭ নং ও ২৬ নং নিউরোসার্জারী, অর্থোপেডিক্স ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল ওয়ার্ড। এ দুই ওয়ার্ডে নিউরোসার্জারী বিভাগের প্রায় ১৪০ জন, অর্থোপেডিক্সের প্রায় ৪০ জন ও ম্যাক্সিলোফেসিয়ালের (দন্ত বিভাগের) ২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে অনেকেই মেঝেতে শয্যাশায়ী যাদের বাধ্য হয়ে অন্য রোগীর বিছানায় অবস্থান নিতে হয়।

এছাড়া, হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লক, ৩০নং ওয়ার্ড, ফার্মেসী, ৩১নং ওয়ার্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ, অফিস, শেখ রাসেল স্ক্যানু সেন্টার, এম.আর.আই, সিটিস্ক্যান সেন্টার, প্যাথলজী ও হেমাটোলজী বিভাগসহ নিচ তলার সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনেক কিছুই পানিতে নষ্ট হয় বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।

অপরদিকে, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের নীচ তলার অধ্যক্ষের কক্ষ উপাধ্যক্ষের কক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কক্ষ, অডিটোরিয়াম,ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ, ল্যাব, এনাটমী বিভাগসহ সংলগ্ন কক্ষ সমূহে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন জিনিসপত্র। মেডিকেল কলেজের নিচ তলার সোনালী ব্যাংকেরও অনেক উপকরণ নষ্ট হয়।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নিচ তলায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালের তিনটি ওয়ার্ডে পানি ঢুকেছে। এতে চিকিৎসাসেবায় ব্যাঘাত ঘটছে। সোমবারের (৩ জুন) থেকে পরীক্ষা ও ক্লাস বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নিচতলা পুরোটাতেই পানি ঢুকেছে।