ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে আসছে জেলিফিশ, পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার শংকা

উত্তম কুমার হাওলাদার, পটুয়াখালী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪ ১২৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে এসব জেলিফিশ ভেসে এসে সৈকতের বিভিন্ন স্পটে আটকা পড়ে। এক সপ্তাহ ধরে এর পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। তবে বিস্তীর্ণ সৈকত-জুড়ে পড়ে থাকা মৃত এ জেলিফিশ দ্রুত অপসারন করা না হলে সৈকতের পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, বঙ্গোপসাগরে জেলিফিশের আধিক্য থাকায় জেলেরা মাছ শিকারে যেতে পাড়ছে না। ইতিমধ্যে অনেক জেলের জালে প্রচুর পরিমান জেলিফিশ আটকে পড়ায় তারা জাল কেটে দিতে বাধ্য হয়েছে। প্রতি বছরই এমন পরিস্থিতি দেখা যায়। তবে এ বছর বেশি পরিমাণে জেলিফিশ সমুদ্রে দেখা যাচ্ছে বলে জেলেরা জানান।

জানা গেছে, কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টসহ পশ্চিম দিকে লেম্বুর চর এলাকা থেকে পূর্বে গঙ্গামতি পর্যন্ত মরা জেলিফিশ পড়ে রয়েছে। একেকটির ওজন ১২ থেকে ১৫ কেজি। সৈকতে বিক্ষিপ্ত ভাবে পড়ে থাকা জেলিফিশ দ্রুত অপসারন না করা হলে এ গুলো পচেঁ গলে দূর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন।

জেলোর জানান, জেলিফিশের কারণে তারা এখন সাগরে মাছ ধরতে পারছে না। জাল ফেললেই মরা জেলিফিশ উঠে আসে। এগুলো শরীরে লাগলে অসহনীয় চুলকানি হচ্ছে। তাই অনেকেই মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে।

জেলে মো.আতিকর রহমান জানান, তার জালে জেলিফিশ আটকা পড়ায় অন্ততঃ ১০০ মিটার জাল কেটে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এ রকম অনেক জেলেদের জাল কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।

আন্তর্জাতিক গবেষনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিস ইকোফিস-২ এর পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জানান, সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রধান খাদ্য হচ্ছে জেলিফিশ। কচ্ছপের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সমুদ্রে জেলিফিসের আধিক্যর কারন। এছাড়াও তাপমাত্রা এবং বিভিন্ন কারনে পরিবেশ দূষনের কারনে জেলিফিশ অনেকটা উপরে উঠে এসেছে।

উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, প্রতি বছর এ সময়টাতে সাগরে জেলিফিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর অনেক বেশী দেখা যাচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সৈকতের মৃত জেলিফিশ অপসারনের বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পর্যটকদের যাতে কোন প্রকার অসুবিধা না হয়, সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে আসছে জেলিফিশ, পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার শংকা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে এসব জেলিফিশ ভেসে এসে সৈকতের বিভিন্ন স্পটে আটকা পড়ে। এক সপ্তাহ ধরে এর পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। তবে বিস্তীর্ণ সৈকত-জুড়ে পড়ে থাকা মৃত এ জেলিফিশ দ্রুত অপসারন করা না হলে সৈকতের পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, বঙ্গোপসাগরে জেলিফিশের আধিক্য থাকায় জেলেরা মাছ শিকারে যেতে পাড়ছে না। ইতিমধ্যে অনেক জেলের জালে প্রচুর পরিমান জেলিফিশ আটকে পড়ায় তারা জাল কেটে দিতে বাধ্য হয়েছে। প্রতি বছরই এমন পরিস্থিতি দেখা যায়। তবে এ বছর বেশি পরিমাণে জেলিফিশ সমুদ্রে দেখা যাচ্ছে বলে জেলেরা জানান।

জানা গেছে, কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টসহ পশ্চিম দিকে লেম্বুর চর এলাকা থেকে পূর্বে গঙ্গামতি পর্যন্ত মরা জেলিফিশ পড়ে রয়েছে। একেকটির ওজন ১২ থেকে ১৫ কেজি। সৈকতে বিক্ষিপ্ত ভাবে পড়ে থাকা জেলিফিশ দ্রুত অপসারন না করা হলে এ গুলো পচেঁ গলে দূর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন।

জেলোর জানান, জেলিফিশের কারণে তারা এখন সাগরে মাছ ধরতে পারছে না। জাল ফেললেই মরা জেলিফিশ উঠে আসে। এগুলো শরীরে লাগলে অসহনীয় চুলকানি হচ্ছে। তাই অনেকেই মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে।

জেলে মো.আতিকর রহমান জানান, তার জালে জেলিফিশ আটকা পড়ায় অন্ততঃ ১০০ মিটার জাল কেটে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এ রকম অনেক জেলেদের জাল কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।

আন্তর্জাতিক গবেষনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিস ইকোফিস-২ এর পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জানান, সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রধান খাদ্য হচ্ছে জেলিফিশ। কচ্ছপের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সমুদ্রে জেলিফিসের আধিক্যর কারন। এছাড়াও তাপমাত্রা এবং বিভিন্ন কারনে পরিবেশ দূষনের কারনে জেলিফিশ অনেকটা উপরে উঠে এসেছে।

উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, প্রতি বছর এ সময়টাতে সাগরে জেলিফিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর অনেক বেশী দেখা যাচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সৈকতের মৃত জেলিফিশ অপসারনের বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পর্যটকদের যাতে কোন প্রকার অসুবিধা না হয়, সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।