ইতনার গণহত্যা দিবস আজ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
আজ ২৩ মে। ইতনার গণহত্যা দিবস। ইতনা ঠিক বিপরীতে মধুমতি নদীর ওপারে চরভাটপাড়া গ্রামে পাক-সেনারা চালায় ২২ মে গণহত্যা,অগ্নিসংযোগ ও মা-বোনদের সম্ভমহানী। ঘটনার প্রত্যক্ষ মুখোমুখি হন চর-ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক অনিল কাপালী। কৃষক অনিল কাপালী মা-বোনদের প্রতি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে খালি হাতে ঝাপিয়ে পড়েন এক পাক-সেনার ওপর।
বীর বাঙ্গালী অনিল কাপালী পাক-সেনার কাছ থেকে তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে দৌড়ে যায় নদীর দিকে। মধুমতি নদীতে অস্ত্র ফেলে সাঁতার কেটে চলে আসেন ইতনায়। পরদিন পাক-সেনারা অনিল কাপালীকে ধরতে চর-ভাটপাড়া গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আত্মরক্ষার জন্য চর-ভাটপাড়াবাসীরা বলে কাপালীর বাড়ি ইতনায়।
পরদিন ইতনায় গণহত্যার পরিকল্পনা করে পাঁচটি নৌবহর ধারা পাকসেনারা কাক ডাকা ভোরে পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে। তারা পাঁচভাগে ভাগ হয়ে ঢুকে পড়ে গ্রামের ভিতর। মানুষ তখন ঘুমন্ত। কেউ কেউ ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেছে। পাক সেনারা প্রথমেই হিমায়েত মিনাকে গুলি করে তখন সে গুলি অবস্থায় ‘জয়বাংলা’ বলে চিৎকার দেয়। এভাবে সে চিৎকার দিয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। যতক্ষন সে জয়বাংলা বলেছে ততবার পাক-সেনারা তাকে গুলি করেছে। এরপর আব্দুর রজ্জাককে কোরান শরীফ পড়ার এসময় তাকে গুলি করে।
বানছারাম মন্ডলকে গুলি করতে উদ্দ্যোগ নিলে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে বেঁচে যান,বজলার রহমান,আঃ জলিল,হারুন শেখসহ অনেকে। ইতনা হয়ে পড়ে ভুতুড়ে গ্রাম। চারদিকে লাশ আর লাশ। দাফন করার মত মানুষ নেই। গ্রামবাসী ধর্মীয় সব নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে কোন মতে শহীদদের দাফন করে গ্রাম ছাড়া হয়। এ আতংক সবার মধ্যে। ঔদিন কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জনকে পাক-সেনারা হত্যা করে। এ উপলক্ষে ইতনা স্কুল এন্ড কলেজের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ইতনায় শহীদদের স্মরনে বিকালে আলেচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।