ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আটার কেজি ৮০০, খাবারের জন্য হুড়োহুড়ি পাকিস্তানে

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪ ১২৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা আবারও অবনতি হতে শুরু হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে খাদ্যদ্রব্যের দামে। পরিস্থিতি এমন যে, আটা-রুটির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর এক প্রতিবেদন বলা হয়, কয়েক দিন আগে করাচিতে এক কেজি আটা ২৩০ পাকিস্তানি টাকায় পাওয়া যেতো, এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮০০ পাকিস্তানি টাকা। শুধু তাই নয়, একটি রুটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায় (পাকিস্তানি মুদ্রায়)।

পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যবৃদ্ধির সাথে‘লড়াই করছে’ পাকিস্তান। দেশটিতে গত কয়েক মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩৮ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮ শতাংশ।

পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটিতে গত এক বছরে খাদ্য, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসসহ-হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে পাকিস্তানের শহরাঞ্চলগুলোতে টম্যাটোর দাম ১৮৮ শতাংশ, সব্জির দাম ৫৫ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম ৮৪ শতাংশ, মশলার দাম ৪৯ শতাংশ, আলুর দাম ৩৬ শতাংশ এবং চিনির দাম ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া ৩১৯ শতাংশ গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৭৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বহু গুণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের উপর বিপুল ঋণের বোঝাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ)-ও পাকিস্তানকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী পাকিস্তান সরকার ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করেছে। এর ফলে খাদ্যসামগ্রী থেকে শুরে করে মৌলিক চাহিদা, সব কিছুই ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে দেশটিতে।

পাকিস্তানে এই পরিস্থিতি নতুন নয়। গত দুই বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধির জন্য বার বার নাজেহাল অবস্থা হয়েছে দেশটির নাগরিকদের। খাবার নিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় মারামারিও করতে দেখা গেছে মানুষকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আটার কেজি ৮০০, খাবারের জন্য হুড়োহুড়ি পাকিস্তানে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা আবারও অবনতি হতে শুরু হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে খাদ্যদ্রব্যের দামে। পরিস্থিতি এমন যে, আটা-রুটির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর এক প্রতিবেদন বলা হয়, কয়েক দিন আগে করাচিতে এক কেজি আটা ২৩০ পাকিস্তানি টাকায় পাওয়া যেতো, এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮০০ পাকিস্তানি টাকা। শুধু তাই নয়, একটি রুটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায় (পাকিস্তানি মুদ্রায়)।

পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যবৃদ্ধির সাথে‘লড়াই করছে’ পাকিস্তান। দেশটিতে গত কয়েক মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩৮ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮ শতাংশ।

পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটিতে গত এক বছরে খাদ্য, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসসহ-হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে পাকিস্তানের শহরাঞ্চলগুলোতে টম্যাটোর দাম ১৮৮ শতাংশ, সব্জির দাম ৫৫ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম ৮৪ শতাংশ, মশলার দাম ৪৯ শতাংশ, আলুর দাম ৩৬ শতাংশ এবং চিনির দাম ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া ৩১৯ শতাংশ গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৭৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বহু গুণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের উপর বিপুল ঋণের বোঝাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ)-ও পাকিস্তানকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী পাকিস্তান সরকার ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করেছে। এর ফলে খাদ্যসামগ্রী থেকে শুরে করে মৌলিক চাহিদা, সব কিছুই ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে দেশটিতে।

পাকিস্তানে এই পরিস্থিতি নতুন নয়। গত দুই বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধির জন্য বার বার নাজেহাল অবস্থা হয়েছে দেশটির নাগরিকদের। খাবার নিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় মারামারিও করতে দেখা গেছে মানুষকে।