ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্ত্রের মুখে ৫ কৃষককে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি ৩০ লাখ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪ ১১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে পাচঁ কৃষক অপহরণের শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভোরে হ্নীলার পানখালী এলাকায় পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় অপরহরণকারীরা । অপহৃতদের উদ্ধারে ত্রিশ লাখ টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা ।

অপহৃতরা হলেন- মো. রফিক( ২২) জিহান( ১৩), শাওন( ১৫), মো. নুর( ১৮) ও আব্দু রহমান( ১৫) ।

পাচঁ কৃষক অপহরণের শিকারের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, অপহরণের খবরটি শুনে এলাকায় এসেছি । অপহৃতদের উদ্ধারের বিষয়ে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি ।

এদিকে মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত রফিকের বড় ভাইমো.শফিককের কাছে মুঠোফেনে ত্রিশ লাখ টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা । এ বিষয়ে শফিক বলেন, ছেলে প্রতিদিনের ন্যায় জুম চাষে পাহাড়ে যায় । কিন্তু ছেলে আজকে সেহেরি খেতে না আসায় তাকে খোঁজতে বের হয় । পরে জানতে পায় তাদের পাচঁজনকে ধরে নিয়ে যায় । অবশেষে( বৃহস্পতিবার) দুপুরে ফোনে মুক্তিপণ চেয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অস্ত্রধারীরা । বিষয়টি আমি জনপ্রতিনিধিকে অবিহিত করেছি ।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, ‘ অপহরণে বিষয়টি আমাকে কেউ এখনো অবহিত করেনি । এরপরও আমি খোঁজ- খবর নিচ্ছি । ’

এর আগে সর্বশেষ গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ( ৬) কে অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা । ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করা যায়নি ।

গত ৯ মার্চ টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ছেলে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ( ৬) কে আবু হুরাইরা মাদ্রাসার সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় । সে উক্ত মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র । ১২ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত ছোয়াদকে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ । এদিকে অপহরণ চক্রের সদস্যরা ছোয়াদ এরমা’কে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় ।

২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত পাহাড়কেন্দ্রিক ১০৩টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৫২ জন স্থানীয় এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা । এরমধ্য বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অস্ত্রের মুখে ৫ কৃষককে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি ৩০ লাখ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে পাচঁ কৃষক অপহরণের শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভোরে হ্নীলার পানখালী এলাকায় পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় অপরহরণকারীরা । অপহৃতদের উদ্ধারে ত্রিশ লাখ টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা ।

অপহৃতরা হলেন- মো. রফিক( ২২) জিহান( ১৩), শাওন( ১৫), মো. নুর( ১৮) ও আব্দু রহমান( ১৫) ।

পাচঁ কৃষক অপহরণের শিকারের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, অপহরণের খবরটি শুনে এলাকায় এসেছি । অপহৃতদের উদ্ধারের বিষয়ে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি ।

এদিকে মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত রফিকের বড় ভাইমো.শফিককের কাছে মুঠোফেনে ত্রিশ লাখ টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা । এ বিষয়ে শফিক বলেন, ছেলে প্রতিদিনের ন্যায় জুম চাষে পাহাড়ে যায় । কিন্তু ছেলে আজকে সেহেরি খেতে না আসায় তাকে খোঁজতে বের হয় । পরে জানতে পায় তাদের পাচঁজনকে ধরে নিয়ে যায় । অবশেষে( বৃহস্পতিবার) দুপুরে ফোনে মুক্তিপণ চেয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অস্ত্রধারীরা । বিষয়টি আমি জনপ্রতিনিধিকে অবিহিত করেছি ।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, ‘ অপহরণে বিষয়টি আমাকে কেউ এখনো অবহিত করেনি । এরপরও আমি খোঁজ- খবর নিচ্ছি । ’

এর আগে সর্বশেষ গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ( ৬) কে অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা । ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করা যায়নি ।

গত ৯ মার্চ টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ছেলে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ( ৬) কে আবু হুরাইরা মাদ্রাসার সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় । সে উক্ত মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র । ১২ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত ছোয়াদকে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ । এদিকে অপহরণ চক্রের সদস্যরা ছোয়াদ এরমা’কে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় ।

২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত পাহাড়কেন্দ্রিক ১০৩টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৫২ জন স্থানীয় এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা । এরমধ্য বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে ।