খাজানগরের মোকামে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪ ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
দেশের অন্যতম সরু চালের মোকাম খাজানগরে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে । গত ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম রমজান মাসে চালের দাম বৃদ্ধি পেলো। গত এক সপ্তাহ ধরে এই দরে মিল মালিকরা চাল বিক্রি করছেন। একমাস স্থিতিশীল থাকার পর মিলগেটে চালের দাম বাড়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে অনেকের ধারণা।
এদিকে, মিল মালিকেরা বলেছেন,হাটে মিনিকেট ও আটাশ চাল তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যে ধান পাওয়া যাচ্ছে সেটা মণ প্রতি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা বেড়েছে। তাই তারা চালের দাম বাড়িয়েছেন।
তারা আরও বলেছেন,আগামী ২০ দিনের মধ্যে নতুন ধান উঠলে চালের দাম কমে আসবে। অপরদিকে খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামে চালের দাম বেড়ে গেছে তারাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
বাংলাদেশ অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান বলেন, আমরা গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৮ দিন জেলা প্রশাসনের বেধে দেওয়া ৬২ টাকা দরে মিনিকেট চাল বিক্রি করেছি। কিন্তু হাটে পর্যাপ্ত ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ধানের দাম বেশি তাই বাধ্য হয়ে মিল মালিকরা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে চালের দাম বাড়াত বাধ্য হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে রমজান মাসে কখনোই চালের দাম বাড়েনি। তবে এবার ব্যতিক্রম। ধানের দাম কেন বাড়লো কারা বাড়ালো সেটাও খতিয়ে দেখতে বলেন তিনি।
এছাড়া খাজানগরের কয়েকজন মিল মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ফেব্রুয়ারী মাসে লোকশান থাকা সত্তে্বও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের বেধে থাকা দামে চাল বিক্রি করা হয়েছে। গত মাসের শেষের দিকে মার্চের শুরুতে কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের নেতাদের সাথে সমন্বয় করে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা হয়। সে সময় চালের দাম বাড়ানোর আভাস দেওয়া হয়েছিল।
১৫ দিন আগে কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে আটাশ চাল বিক্রি হয়েছিল কেজি প্রতি ৫১টাকা দরে। বুধবার বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা দরে। মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৬২ টাকা দরে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে। আর বাসমতি চাল বিক্রি হয়েছে আগে কেজি প্রতি ৬৮ টাকা দরে। বিক্রি হচ্ছে ৭৪ টাকা দরে। কুষ্টিয়া পৌর বাজারের খুচরা বিক্রেতারা আটাশ এবং মিনিকেট চাল কেজি প্রতি দুই টাকা করে তারা বাড়িয়ে দিয়েছেন। খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, মোকামে চালের দাম বেড়েছে। আমাদের কিছুই করার না।
জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা বলেন, চালের দাম বাড়ানোর বিষয়টি নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে মিল মালিকদের সাথে কথা বলা হবে। এছাড়া বাজার তদারকি বাড়ানো হবে।