ঈশ্বরদীতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাচ্ছে, বাড়ছে দুর্ভোগ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:১৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় শক্তিশালী সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। নির্বিঘ্নে পানি পেতে ঈশ্বরদীতে বহুতল ভবন মালিক দ্বারা ভূগর্ভের ৬০০ফুট গভীর পর্যন্ত এসব পাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। ঈশ্বরদীতে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকল্প গ্রীন সিটিতে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক বহুতল ভবন। যার পানির প্রধান উৎস ভূগর্ভস্থ পানি। এভাবে প্রতিনিয়ত পানি তোলার পাশাপাশি নদীর পানির নাব্যতা কমে যাওয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ প্রকৌশল অধিদপ্তর।
অন্যদিকে, কেউ কেউ সাবমারসিবল পাম্প পানি তোলায় হস্ত চালিত চাপকলে পানি পাচ্ছেন না বলে মনে করেন অনেকে। ইতিমধ্যে ঈশ্বরদী পৌরসভা সহ,সলিমপুর,সাহাপুর, পাকশি,দাশুড়িয়া মুলাডুলী ইউনিয়নের অনেক এলাকার বাসিন্দা চাপ কলে পানি না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের সার বিষ কীটনাশক ব্যবসায়ী জামান এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মোস্তফা জামান নয়ন বলেন, তার বাড়িতে ব্যবহৃত চাপকলে অনেক চাপাচাপির পরে পানি উঠলেও তা পান করার মতো উপযোগী নয়। বাড়িতে পাম্প থাকলেও সেটাতে পানি উঠছে না বিধায় তিনি দ্রুত সাবমারসিবল পাম্প বসাবেন বলে জানিয়েছেন।
জয়নগর মধ্যপাড়া ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম জানান, তার বাড়িতে দুটি চাপকল থাকলেও সেটাতে পানি না ওঠায় সাবমারসিবল পাম্প বসিয়েছেন।
ভাড়ইমারীর কৃষক বিলাল হোসেন জানান,তার বাড়িতে একটি চাপকল থাকলেও সেটাতে ঠিকমতো পানি ওটাতে না পারায় অন্যের বাড়ি থেকে পানি এনে কোন মত চলছেন। তার পক্ষে ব্যয়বহুল সাবমারসিবল পাম্প বসানো সম্ভব হচ্ছে না।
সাবমারসিবল পাম্প বিক্রেতা জয়নগর হার্ডওয়ারের স্বত্বাধিকারী হাফিজুর রহমান নয়ন জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর মারসেবল পাম্প বিক্রয় সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। প্রতিটি পাম্প বসাতে খরচ হচ্ছে সর্ব সাকুল্যে ২৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সাবমারসেবল বসানোর কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রি জহুরুল ইসলাম জানান ,প্রায় প্রতিদিনই ঈশ্বরদী উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ২ থেকে ৩টি পাম্প বসিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা জানান, প্রতিবছরের পানি সংকট থাকলেও এ বছর সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সমস্যা মোকাবেলায় উপজেলায় ৯০টি তারাপাম্প বরাদ্দ ছিল। তার নিজস্ব ইউনিয়নে সরকারের বরাদ্দকৃত ৯টি তারাপাম্প বসানো হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় নগণ্য।