ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩০ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দাবি পূরণের আশ্বাসে রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে ট্রেন চলাচল শুরু করে।

জানা যায়, বধবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়। একই স্টেশন থেকে ৮টার দিকে ছেড়ে যায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস।

রাজশাহী রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার শহীদুল আলম বলেন, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন, ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেন, ৭টা ৩৫ মিনিটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন ও ৭টা ৫০ মিনিটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহী স্টেশন ছেড়ে যায়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। যদিও যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে ট্রেনের টিকিটে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়।

এই অবস্থায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের জন্য সরকারের তরফ থেকে বারবার রেলকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হলেও কাজ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে দিনভর দফায় দফায় বৈঠক হলেও রেলের রানিং স্টাফরা অবস্থান থেকে সরেননি। দাবি আদায়ে অনড় ছিলেন তারা। পরে নানা নাটকীয়তা শেষে গতকাল গভীর রাতের বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস আসে।

মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় কর্মসূচি তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক-সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছেন রানিং স্টাফরা।

গত ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

এই রানিং স্টাফরা হলেন গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)।

তারা সাধারণত দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন তারা। এ ছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

দাবি পূরণ না হওয়ায় গত সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। সে কারণে মঙ্গলবার দিনভর সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

৩০ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

দাবি পূরণের আশ্বাসে রেলওয়ে রানিং স্টাফদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে ট্রেন চলাচল শুরু করে।

জানা যায়, বধবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়। একই স্টেশন থেকে ৮টার দিকে ছেড়ে যায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস।

রাজশাহী রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার শহীদুল আলম বলেন, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন, ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেন, ৭টা ৩৫ মিনিটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন ও ৭টা ৫০ মিনিটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহী স্টেশন ছেড়ে যায়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। যদিও যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে ট্রেনের টিকিটে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়।

এই অবস্থায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের জন্য সরকারের তরফ থেকে বারবার রেলকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হলেও কাজ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে দিনভর দফায় দফায় বৈঠক হলেও রেলের রানিং স্টাফরা অবস্থান থেকে সরেননি। দাবি আদায়ে অনড় ছিলেন তারা। পরে নানা নাটকীয়তা শেষে গতকাল গভীর রাতের বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস আসে।

মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় কর্মসূচি তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক-সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছেন রানিং স্টাফরা।

গত ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

এই রানিং স্টাফরা হলেন গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)।

তারা সাধারণত দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন তারা। এ ছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

দাবি পূরণ না হওয়ায় গত সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। সে কারণে মঙ্গলবার দিনভর সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।