হবিগঞ্জের মাধবপুরের দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শংকর পালের এক আবেগঘন ফেইসবুক পোস্ট সাংবাদিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

বিগত ৫ অগাস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভাঙচুর মামলায় স্থানীয় যুবদল নেতা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় আসামি হয়ে বিগত ৫ মাস ধরে ফেরারি আসামী হয়ে আছেন ওই সাংবাদিক।সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন সেই হিসেবে তাকে মামলা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি)সাংবাদিক শংকর পাল চৌধুরী তার ভেরিফাইড ফেইসবুক একাউন্ট থেকে পোস্ট দিয়ে লেখেন,”হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত খোয়াই, লোকালয় বার্তা দিয়ে আমার সাংবাদিকতা শুরু। সাংবাদিকতা সম্মানজনক পেশা হিসেবে বেচেঁ নিয়েছিলাম।শুধু সম্মানের আশায়। তারপর কিছু গ্যাপ ছিল। তারপর ২০১৫ সাল থেকে দৈনিক জনকণ্ঠে কাজ শুরু করি অত্যন্ত সুনামের সাথে। তার ফলশ্রুতিতে আমি মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক। বিগত ৫ তারিখ সরকার পতনের পর আমার নামে মামলা হয়েছে যা অত্যন্ত দু:খজনক। একজন সাংবাদিক হিসেবে প্রত্যেকটি নিউজ আমি করেছি। যার প্রত্যেকটি ভিডিও ও পেপার কার্টিং আমার কাছে আছে। আমি সাবেক সংসদ সদস্য এড: মাহবুব আলীর ১০ বছর ও সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ৬ মাস তাদের ধারে কাছেও নেই। উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের দিবস অনুষ্ঠান ছাড়া কোন অনুষ্ঠানে যায়নি। বিগত ২০ বছর যাবত আওয়ালীগ কমিটির কোন পদ পদবীতে নেই। আমার জানা মতে কাউকে ক্ষতি বা সম্মান নষ্ট করিনি। চলার চেষ্টা করেছি সাধারন মানুষ হিসেবে। তবুও আমি বিপদে। অনেকে আমার কাছ থেকে সুবিধা নেয়া ও নেবার চেষ্টা করেছেন। তাদের হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশট ও রেকর্ড আমার কাছে আছে। যখন আমি নিরপরাধ হয়ে বাচঁতে পারবনা তখন আমি আার কি করব? আমি জানি বাচাঁর জন্য আমাকে লড়তে হবে। সাংবাদিকতাকে আমি মহান পেশা হিসেবে ধরে রেখেছি। কারও সম্মান হানির কারন হয়ে দাড়াইনি। যারা আমার সিনিয়র তাদের সম্মান ছোটদের স্নেহ দিয়ে মিলে মিশে থাকার চেষ্টা করেছি। একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। সমাজের অসংগতি ও পিছিয়ে পড়া সমাজ ব্যবস্হা ও ব্যবসা বাণিজ্যের সম্ভবনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সবাই ভাল থাকবেন।”