বাগেরহাটে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে বৃদ্ধা মাকে ঘরছাড়ার অভিযোগ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিষখালি গ্রামে ৯০ বছরের বৃদ্ধা মাকে বাড়ি ছাড়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছেছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বৃদ্ধার ছোটছেলে জগবন্ধু দাস বাদী হয়ে মোড়েলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।জগবন্ধু দাস বিষ খালি গ্রামের মৃত সুনীল কুমার দাসের ছেলে।
অভিযোগে জগবন্ধু দাস (৪৫) জানান , তিনি যশোরে একটি ঔষধ কোম্পানিতে কর্মরত আছেন এবং সেখানে স্বপরিবারে বসবাস করেন। বড় ভাই কানাডা প্রবাসী বিষ্ণুপদ দাস স্বপরিবারে বিদেশে থাকেন।
তারা দুই ভাই যৌথভাবে তাদের বৃদ্ধা মায়ের বসবাস করবার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করেছিলেন।
তাদের অনুপস্থিতিতে বৃদ্ধা মাতা কানন বালা দাসকে দেখাশোনা করবার জন্য বোন সোমা রানী দাস থাকতেন।
মেঝ ভাই বাদল দাস ও তার স্ত্রী দীপা বালা দাস বসত ঘরটি দখল করতে গত ৩রা জানুয়ারি গভীর রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে। তাদের বোন ও মাকে ডাকাডাকি করে ঘরের দরজা খুলতে বাধ্য করে।
তারা জোরপূর্বক বসত করে প্রবেশ করে ঘরের সমস্ত মালামাল বের করে বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বের করে দেন। এক সপ্তাহ অতিক্রম হলেও বৃদ্ধ মা এখনো বাড়িতে ঢুকতে পারেনি।
জগবন্ধু আরো বলেন, তাদের মেজ ভাই ও ভাবি দীর্ঘদিন ধরে তাদের উপর নির্যাতন করে আসছে। তাদের উপর মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগে জানান।
এমন কি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে এখনো হুমকী থামকী অব্যাহত রেখেছেন।বিষয়টি নিয়ে মোড়লগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হলেও মায়ের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ দিকে বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে এমন আচরণ এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছেস্থানীয়রা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বিষ খালি গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, দীপা বালা দাসের পিতার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। বাদল দাস ঢাকায় চাকরিরত অবস্থায় তাদের বিয়ে হয়। বাদল দাসের আগেও সে স্বামী পরিবর্তন করেছে। সেই সংসারে দীপার ২২ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
তারা জানান, বিয়ের পর দীপা এলাকায় আসার কিছুদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন কারণে পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার শুরু করে। এমনকি পার্শ্ববর্তী মানুষের সঙ্গে তাদের ঝামেলা শুরু হয়।পরিবার ও আশপাশের লোকজনকে জড়িয়ে একাধিকবার দীপা বাদী হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জানান, দীপা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে।পরে কোন বিষয় নিয়ে ঝামেলা হলেই সে হাতিয়ার হিসেবে সাধারণ মানুষকে মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তার মিথ্যা মামলা ও হয়রানিতে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদ আরিফ জানান, বিষয়টা আমি জানতে পেরেছি। ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক।
বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।