ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জানালো আপিল বিভাগ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ৫ মামলা বাতিলের সিদ্ধান্ত যথাযথ

 নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের পাঁচ মামলা বাতিলে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত যথাযথ বলে উল্লেখ করেছেন আপিল বিভাগ। সর্বোচ্চ আদালত আদেশে বলেছেন, মামলা বাতিলের সিদ্ধান্তে আইনি কোনো দুর্বলতা নেই। ফলে হাইকোর্টের এই রায়ে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন পড়েনি।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে গত ৮ ডিসেম্বর আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

পূর্ণাঙ্গ আদেশটি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের এই আদেশে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রায় ও আদেশে কোনো আইনি দুর্বলতা নেই। যে কারণে প্রদত্ত রায়ে আইনিভাবে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলগুলো (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) খারিজ করা হলো।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যখন শ্রম আদালতে পৃথক পাঁচটি মামলা হয় তখন তিনি গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নকে কেন্দ্র করে চাকরিচ্যুতির অভিযোগে ২০১৯ সালে পাঁচটি মামলা করা হয়। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ কমিউনিকেশনের তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারী। তারা হলেন আব্দুস সালাম, শাহ আলম ও এমরানুল হক।

একই বছর হোসাইন আহমেদ ওআব্দুর গফুরও মামলা করেন। এসব মামলা বাতিল চেয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস। তখন হাইকোর্ট মামলা বাতিলে রুল জারি করেছিলেন। সেই রুলে চূড়ান্ত শুনানির পর গত বছর ২৪ অক্টোবর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে পাঁচ মামলারই কার্যক্রম বাতিল করা হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে (লিভ টু আপিল) আবেদন করে। শুনানি শেষে গত ৮ ডিসেম্বর সেই লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ অনীক রুশদ হক। ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জানালো আপিল বিভাগ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ৫ মামলা বাতিলের সিদ্ধান্ত যথাযথ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের পাঁচ মামলা বাতিলে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত যথাযথ বলে উল্লেখ করেছেন আপিল বিভাগ। সর্বোচ্চ আদালত আদেশে বলেছেন, মামলা বাতিলের সিদ্ধান্তে আইনি কোনো দুর্বলতা নেই। ফলে হাইকোর্টের এই রায়ে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন পড়েনি।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে গত ৮ ডিসেম্বর আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

পূর্ণাঙ্গ আদেশটি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের এই আদেশে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রায় ও আদেশে কোনো আইনি দুর্বলতা নেই। যে কারণে প্রদত্ত রায়ে আইনিভাবে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলগুলো (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) খারিজ করা হলো।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যখন শ্রম আদালতে পৃথক পাঁচটি মামলা হয় তখন তিনি গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রস্তাবিত ট্রেড ইউনিয়নকে কেন্দ্র করে চাকরিচ্যুতির অভিযোগে ২০১৯ সালে পাঁচটি মামলা করা হয়। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ কমিউনিকেশনের তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারী। তারা হলেন আব্দুস সালাম, শাহ আলম ও এমরানুল হক।

একই বছর হোসাইন আহমেদ ওআব্দুর গফুরও মামলা করেন। এসব মামলা বাতিল চেয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস। তখন হাইকোর্ট মামলা বাতিলে রুল জারি করেছিলেন। সেই রুলে চূড়ান্ত শুনানির পর গত বছর ২৪ অক্টোবর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে পাঁচ মামলারই কার্যক্রম বাতিল করা হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে (লিভ টু আপিল) আবেদন করে। শুনানি শেষে গত ৮ ডিসেম্বর সেই লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ অনীক রুশদ হক। ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান।