পুনর্বিবেচনার সুযোগ পাচ্ছে বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ প্রার্থী
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
পুনর্বিবেচনার আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ প্রার্থী। আবেদন পেলে পুনরায় যাছাই-বাছাই করে তাদের গেজেটভুক্ত করা হবে। এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তাতে বলা হয়, এরমধ্যে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যেকেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সকলের জন্য উন্মুক্ত আছে।
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে ২১৬৩ জন প্রার্থীকে মনোনীত করে গত বছরের ২৫ জানুয়ারি ২ সুপারিশ করে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন ( বিপিএসসি )।
বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকগণের মাধ্যমে প্রার্থীগণের প্রাক-চরিত্র যাচাই-বাছাইআন্তে সুপারিশকৃত ২১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং এজেন্সি রিপোর্ট বিবেচনায় সাময়িকভাবে ৫৯ জনসহ মোট ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে ২০৬৪ জন প্রার্থীর অনুকূলে ১৫ অক্টোবর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নেউঠে। এজন্য সকল সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার নিমিত্ত ৪৩তম বিসিএসের সুপারিশকৃত ২১৬৩ জন প্রার্থীর বিষয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআই এবং ডিজিএফআই এর মাধ্যমে প্রাক-চরিত্র পুনরায় অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এনএসআই এবং ডিজিএফআই থেকে ২১৬৩ জন প্রার্থীর উপযুক্ততা/অনুপযুক্ততা বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২২৭ জন প্রার্থীর প্রাক-চরিত্র বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য (আপত্তি/অসুপারিশকৃত) পাওয়া যায়। ২২৭ জন প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনকে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়।
এমন অবস্থায় সুপারিশকৃত ২১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ১৮৯৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করে ৩০ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।