ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ মারা গেছেন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশের অর্থনৈতিক উদারীকরণের পুরোধাপুরুষ মনমোহন সিংহ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
বয়সজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) তাকে ভর্তি করানো হয় দিল্লি এমসে। রাত ৮টা নাগাদ তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। রাতে হাসপাতালেই মারা যান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের প্রধান মুখ হিসাবে ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন মনমোহন। ২০১৪ সালে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের কাছে ইউপিএ পরাজিত হলে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদী। এ ছাড়া, পিভি নরসিংহ রাও পরিচালিত সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন মনমোহন।
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে কোভিডে আক্রন্ত হন তিনি। হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়েছিল। তবে সেই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তার পর থেকে শরীর কমবেশি অসুস্থই ছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার মনমোহনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছে যান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। দিল্লি এমসে পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাও।
দিল্লি এমসের তরফে জানানো হয়েছে, বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বাড়িতেই হঠাৎ সংজ্ঞা হারান তিনি। রাত ৮টা ৬ মিনিটে তাঁকে দিল্লি এমসের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক দলের সব রকম চেষ্টার পরেও তাঁকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। রাত ৯টা ৫১ মিনিটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে দিল্লি এমস।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত কয়েক বছর ধরে সক্রিয় রাজনীতির থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে শেষ বার জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল তাকে। নিজ কন্যার একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ তথা দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
অতীতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮৫ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর থেকেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের মন্ত্রিসভায় অর্থ মন্ত্রকের গুরু দায়িত্ব সামলেছেন। চলতি বছরেই তাঁর রাজ্যসভার সাংসদ কালের মেয়াদ শেষ হয়েছে।