ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেতুর মাঝে বড় গর্ত, চলাচলে চরম দুর্ভোগ

মাসুদ রানা, পাবনা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৮:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৯০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার শেষ সিমানায় কামালপুর বাজার সংলগ্ন চন্দ্রাবর্তী নদীর উপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) আওতাধীন পারখিদিরপুর কামালপুর সড়কটি ব্যস্ততম একটি সড়ক। এ সড়কটিতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের পাঠাতন ভেঙে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন যান বাহনের চালক, যাত্রী, পথচারীসহ এলাকার প্রায় হাজার হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বর্তমানে একটি ব্রিজের মাঝে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে ব্রিজটি। এতে করে দিনে-রাতে হরহামেশাই ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা। উপজেলার ব্যস্ততম এই সড়কের ব্রিজগুলো দীর্ঘদিন থেকে ভেঙে গেলেও সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পারখিদিরপুর-কামালপুর, ধানবিল, দয়রামপুর, বামনগ্রাম, কাঠালবাড়ী, হোগলবাড়ী খৈরাস, ভরতপুর, রাঘবপুর, মথুরানগর, সোনাকান্দরসহ ১৫-২০ টি গ্রামের মানুষের এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। প্রতিদিন প্রায় বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ তাদের প্রয়োজনীয় কাজে বিশেষ করে আটঘরিয়া, চাটমোহর উপজেলার মানুষ যাতা য়াতের জন্য এ সড়ক ও ব্রিজ ব্যবহার করে আসছ।

এছাড়া কামালপুর বাজারসহ শিক্ষক/ শিক্ষার্থীদের এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজের পাঠাতন ভেঙে যাওয়ায় অতি ঝূঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই যানচলাচল করতে হচ্ছে তাদের। কারণ ব্রিজের মাঝে ডালাই ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যবসায়ী খালেক, আব্দুল কাদের, আলম সরকার বলেন, এই প্রায় ১৫-২০ টি গ্রামের মাসুষ চলাফেরা করে। এই এলাকা কৃষি প্রধান। ব্রীজের মাঝ খানে প্রায় এক বছর যাবত ভেঙে গেছে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেত৷ খামারের কৃষি ফসল আনাস নেয়া করি। উপজেলা প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি দ্রুত ব্রীজ যেন মেরামত করে দেয়।

অটোবোরাক ওমেদ আলী বলেন, প্রতিদিন ভাঙা ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অটো রিকশা, অটোবাইক, মোটরসাইকেল, ছোট বড় ট্রাক,যাত্রী ও মালামাল নিয়ে চলাচল করে।অনেক সময় গাড়ি উল্টে যাত্রীরা গুরুত্বর আহত হয়। গাড়ির অনেক ক্ষতি হয়। আমরা দ্রুত প্রশাসনের কাছে দাবি সরজমিনে ব্রীজ দেখে মেরামত করার জোর দাবি করছি।

সাবেক মেম্বার কামালপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি বারেক বলেন, ব্রিজের মাঝখানের অংশ ধ্বসে পড়ায় পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও মালামাল পরিবহন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এই সড়কের ব্রিজ দ্রুত সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করার জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সেতুর মাঝে বড় গর্ত, চলাচলে চরম দুর্ভোগ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৮:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার শেষ সিমানায় কামালপুর বাজার সংলগ্ন চন্দ্রাবর্তী নদীর উপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) আওতাধীন পারখিদিরপুর কামালপুর সড়কটি ব্যস্ততম একটি সড়ক। এ সড়কটিতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের পাঠাতন ভেঙে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন যান বাহনের চালক, যাত্রী, পথচারীসহ এলাকার প্রায় হাজার হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বর্তমানে একটি ব্রিজের মাঝে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে ব্রিজটি। এতে করে দিনে-রাতে হরহামেশাই ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা। উপজেলার ব্যস্ততম এই সড়কের ব্রিজগুলো দীর্ঘদিন থেকে ভেঙে গেলেও সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পারখিদিরপুর-কামালপুর, ধানবিল, দয়রামপুর, বামনগ্রাম, কাঠালবাড়ী, হোগলবাড়ী খৈরাস, ভরতপুর, রাঘবপুর, মথুরানগর, সোনাকান্দরসহ ১৫-২০ টি গ্রামের মানুষের এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। প্রতিদিন প্রায় বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ তাদের প্রয়োজনীয় কাজে বিশেষ করে আটঘরিয়া, চাটমোহর উপজেলার মানুষ যাতা য়াতের জন্য এ সড়ক ও ব্রিজ ব্যবহার করে আসছ।

এছাড়া কামালপুর বাজারসহ শিক্ষক/ শিক্ষার্থীদের এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজের পাঠাতন ভেঙে যাওয়ায় অতি ঝূঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই যানচলাচল করতে হচ্ছে তাদের। কারণ ব্রিজের মাঝে ডালাই ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যবসায়ী খালেক, আব্দুল কাদের, আলম সরকার বলেন, এই প্রায় ১৫-২০ টি গ্রামের মাসুষ চলাফেরা করে। এই এলাকা কৃষি প্রধান। ব্রীজের মাঝ খানে প্রায় এক বছর যাবত ভেঙে গেছে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেত৷ খামারের কৃষি ফসল আনাস নেয়া করি। উপজেলা প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি দ্রুত ব্রীজ যেন মেরামত করে দেয়।

অটোবোরাক ওমেদ আলী বলেন, প্রতিদিন ভাঙা ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অটো রিকশা, অটোবাইক, মোটরসাইকেল, ছোট বড় ট্রাক,যাত্রী ও মালামাল নিয়ে চলাচল করে।অনেক সময় গাড়ি উল্টে যাত্রীরা গুরুত্বর আহত হয়। গাড়ির অনেক ক্ষতি হয়। আমরা দ্রুত প্রশাসনের কাছে দাবি সরজমিনে ব্রীজ দেখে মেরামত করার জোর দাবি করছি।

সাবেক মেম্বার কামালপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি বারেক বলেন, ব্রিজের মাঝখানের অংশ ধ্বসে পড়ায় পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও মালামাল পরিবহন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এই সড়কের ব্রিজ দ্রুত সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করার জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।