ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বস্তি মিলছে না তেল-চালে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর কাঁচাবাজারে কমতে শুরু করেছে শাক-সবজির দাম। এর ফলে স্বস্তি ফিরছে ভোক্তাদের মাঝে। তবে চাল ও তেলের বাজারে অস্থিরতা কমেনি। সেই সাথে বাজারে চড়া মাছের দামও।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজার এবং নিউমার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। ফলে দাম কমতে শুরু করেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আবুল মিয়া বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে শাক সবজির দাম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম আরও কমবে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৭০ টাকা, লতি ৭০ টাকা,  করলা ৬০ টাকা, ঢেড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকা,কহি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, ক্ষিরাই ৫০ টাকা, টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

প্রতি কেজি পেঁয়াজের কালি ৫০ টাকা, ধনেপাতা ৩০ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। প্রতি কেজি ৭০-৯০ টাকা, আর পাইকারিতে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

শিমুল নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে শীতকালীন শাক-সবজিতে ভরপুর। দাম একটু কমেছে। শাক-সবজির দাম কমলেও চড়া চাল ও তেলের দাম। চালের কেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা পর্যন্ত।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইছ এজেন্সির বিক্রেতা জানান, মিলার ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কারসাজিতে ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার। মিনিকেট চাল কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকায়। আর নতুন আটাইশ ৫৫-৫৭ টাকা, পুরাতন আটাইশ ৬০-৬২ টাকা ও নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, দাম বাড়ানোর পরও অস্থিরতা কমেনি তেলের বাজারে। সরকার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৫৭ নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকার ওপরে।

ক্রেতাদের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো তেল। কাসেম নামে এক ক্রেতা জানান, দাম বাড়ানোর পরও বাজারে পর্যাপ্ত তেল মিলছে না। দাম নির্ধারণের পর বাজারে মনিটরিং না থাকায় ফের সিন্ডিকেট করছে ব্যবসায়ীরা।

মাছের বাজারে স্বস্তি নেই। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ । প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা,  চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা,চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

ফের বাড়তে শুরু করেছে এলাচের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। এছাড়া বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, জিরা ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা ও তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্বস্তি মিলছে না তেল-চালে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর কাঁচাবাজারে কমতে শুরু করেছে শাক-সবজির দাম। এর ফলে স্বস্তি ফিরছে ভোক্তাদের মাঝে। তবে চাল ও তেলের বাজারে অস্থিরতা কমেনি। সেই সাথে বাজারে চড়া মাছের দামও।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজার এবং নিউমার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। ফলে দাম কমতে শুরু করেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আবুল মিয়া বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে শাক সবজির দাম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম আরও কমবে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৭০ টাকা, লতি ৭০ টাকা,  করলা ৬০ টাকা, ঢেড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকা,কহি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, ক্ষিরাই ৫০ টাকা, টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

প্রতি কেজি পেঁয়াজের কালি ৫০ টাকা, ধনেপাতা ৩০ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। প্রতি কেজি ৭০-৯০ টাকা, আর পাইকারিতে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

শিমুল নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে শীতকালীন শাক-সবজিতে ভরপুর। দাম একটু কমেছে। শাক-সবজির দাম কমলেও চড়া চাল ও তেলের দাম। চালের কেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা পর্যন্ত।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইছ এজেন্সির বিক্রেতা জানান, মিলার ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কারসাজিতে ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার। মিনিকেট চাল কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকায়। আর নতুন আটাইশ ৫৫-৫৭ টাকা, পুরাতন আটাইশ ৬০-৬২ টাকা ও নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, দাম বাড়ানোর পরও অস্থিরতা কমেনি তেলের বাজারে। সরকার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৫৭ নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকার ওপরে।

ক্রেতাদের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো তেল। কাসেম নামে এক ক্রেতা জানান, দাম বাড়ানোর পরও বাজারে পর্যাপ্ত তেল মিলছে না। দাম নির্ধারণের পর বাজারে মনিটরিং না থাকায় ফের সিন্ডিকেট করছে ব্যবসায়ীরা।

মাছের বাজারে স্বস্তি নেই। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ । প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা,  চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা,চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

ফের বাড়তে শুরু করেছে এলাচের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। এছাড়া বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, জিরা ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা ও তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।