শীতে কাতর নীলফামারীর মানুষ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
হিমালয় পাদদেশের জনপদ নীলফামারী।ঘন-কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসে কাতর হয়ে পড়েছে এ জনপদের মানুষজন। সকাল-সন্ধা মিলছেনা সূর্য়ের দেখা।এ বৈরী আবহাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে শ্রমজীবি মানুষজন।
সরকারি-বে-সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বুধবার (১১ডিসেম্বর)সকাল ৯ টায় নীলফামারী’র সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া অধিদপ্তর ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রিী সেলসিয়াস তাপমাত্র রেকর্ড করেছে।ঘন-কুয়াশার প্রভাবে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে চলাচলকারি আভ্যান্তরিন ফ্লাইটের সিডিউলের বিপর্যয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে বিমান যাত্রীরা।ঘন-কুয়াশায় ঢাকা রাস্তা-ঘাটে বেড়েছে অহরহ ঘটছে প্রানহানির ঘটনা।
সরেজমিনে ও একাধিক সুতমতে জানা গেছে: নীলফামারী জেলা থেকে হিমালয় পর্বতের দুরত্ব সাড়ে ৩শত কিলোমিটার।এরফলে বরফমৃদ্রিত বাতাস আর ঘন-কুয়াশার প্রভাব বিরাজ করে এ জনপদে।গত কয়েক দিন ধরে হিমশীতল বাতাস আর ঘন-কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা থাকায় সন্ধা মিলছেনা সূর্য়ের দেখা। সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ লোকমান হাকিম জানা আজ (১১ ডিসেম্বর) বুধবার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এ বৈরী আবহাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে নিম্ন-আয়ের খেটে-খাওয়া শীতার্থ মানুষ গুলো স্বাভাবিক কাজ কর্মে যেতে না পারায় সীমাহিন দর্ভোগে পড়েছে তারা।এ অবস্থার কথা জানালেন, নীলফামারী সদর উপজেলার ইটোখোলা ইউনিয়নের কানিয়ালখাতা গ্রামের আব্বাস আলী ,রোস্তম আলী,শরিফা বেগমসহ অনেকে।এসব শীতার্থ মানুষ আন্তবর্তীকালিন সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন শীর্তাথ মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়াতে।
নীলফামারী ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতালে ও বে-সরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে শিশু ও ডায়রিযা ওয়ার্ডে শীতজনিত সর্দি-কাষি,স্বাসকষ্ট,নিউমোনিয়া ও ক্লোল্ড-ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা।পাশাপাশি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে নারী-পুরুষ বয়জেষ্ঠরাও চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসা মা ওম্মেহানি জানান: তার কোলের শিশু কন্যা পারভিনের (১২ মাস) সন্তানটির স্বাসকষ্টে রোগ ভোগছিল তাকে নিযে হাসপাতালে এসেছেন। তার মতো অনেকে শীতজনিত রোগ আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে এসেছেন। বয়জেষ্ঠ আকবার আলী জানান, তিনি স্বাসকষ্টে ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালে।
গত কয়েক দিন ধরে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর এবং সৈয়দপুর থেকে ঢাকা গামী আভ্যন্তরিন বিমান গুলো অবতরণ ও উড্ডায়নে ঘন-কুয়াশার বাঁধার মুখে পড়ে সিডিউল বিপর্য়য় ঘটছে।ফলে বিমানের যাত্রীরা বিমান বন্দরে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। সৈয়দপুর বিমান বন্দর ব্যবস্থাপক একে এম বাহাউদ্দি জাকিরিয়া জানান: তীব্র ঘন-কুয়াশার বাঁধার মুখে বিমান গুলো অবতরণ ও উড্ডায়ন করতে না পারায় সিডিউল বিপর্যয় ঘটছে।একটি বিমান রানওয়ে অবতরণে পাইলটের দুষ্টির প্রয়োজন ২ হাজার ভিজিবিলিটি।ঘন-কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা বিমান বন্দর রানওয়েতে বিমান অবতরণের সময় দুষ্টি শাক্তি’র ভিজিবিলিটি পাচ্ছে শুণ্যের কোঠায়।
ঘন-কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তায় যানবাহন গুলো চলাচল করছে হেডল্টা জ্বালিয়ে চলাচল করলেও সড়ক ও রেলপথে দুর্ঘটনা সংখ্যা বেড়েছে।এ অঞ্চলে সড়ক ও রেলপথে এক সপ্তাহে প্রায় ২০জন আহত ও ৭ জন নিহত হয়ে।েছ