ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-দিল্লির বৈঠক, সম্পর্কের ‘নতুন’ আভাস

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। তারপর এই প্রথম দিল্লি এবং ঢাকার মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠক হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক টানাপড়েনের আবহে আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী। দু’দেশের বিদেশসচিব পর্যায়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকার ওই বৈঠকে কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিয়ে কৌতুহল জন্ম নিয়েছে দু’দেশেই। আগামী দিনে ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন চাইছে বাংলাদেশ? রবিবার (৮ ডিসেম্বর) তার আভাস দিয়েছেন উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তারমতে, ৫ অগস্ট (হাসিনার পতন)-এর পর থেকে দু’দেশের সম্পর্কে গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। তা মেনে নিয়েই দু’দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন তৌহিদ।

শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। হাসিনার ভারতে সাময়িক আশ্রয় নেয়া নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে তাদের মনে। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় দূতাবাসে জমা দেয়া স্মারকলিপিতেও সে কথা জানিয়েছে বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টারাও এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনায় ভারত-বাংলাদেশ সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

সম্প্রতি, ত্রিপুরার আগরতলায় নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে বাংলাদেশের সহকারী দূতাবাসের ভিতরে প্রবেশ করেন এক দল মানু‌ষ। ওই ঘটনায় সাথে সাথে নিন্দা জানায় দেশটির বিদেশমন্ত্রী। এ ঘটনায় অন্তত ৭ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছেন তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে। ওই ঘটনার কিছু দিন আগেই কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের কাছেও বিক্ষোভ হয়েছে। যদিও বিক্ষোভকারীদের উপদূতাবাস থেকে কিছুটা দূরেই আটকে দেয় পুলিশ।

ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে উপদেষ্টা তৌহিদের ব্যাখ্যা, ৫ আগস্ট পর্যন্ত ভারতের সাথে এক রকম সম্পর্ক ছিল। ৫ আগস্টের পর সেটি পরিবর্তিত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এটি একটি নিয়মিত বৈঠক। অস্বাভাবিক কিছু নয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দু’দেশের বাণিজ্যের উপরেও প্রভাব পড়েছে। গত প্রায় দু’তিন মাস ধরে চলা ‘মন্দা’ বাংলাদেশকে তো প্রভাবিত করছেই, সঙ্গে স্বল্প পরিমাণে হলেও ভারতেও প্রভাব ফেলছে।

আজ সোমবার ভারত-বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন মিশ্রী। সাধারণত এই বৈঠকগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন প্রকল্পের পর্যালোচনা হয়। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবারও বাংলাদেশে গ্রেফতার সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণের প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের আশা, চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে। তাঁর আইনি অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঢাকা-দিল্লির বৈঠক, সম্পর্কের ‘নতুন’ আভাস

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। তারপর এই প্রথম দিল্লি এবং ঢাকার মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠক হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক টানাপড়েনের আবহে আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রী। দু’দেশের বিদেশসচিব পর্যায়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকার ওই বৈঠকে কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিয়ে কৌতুহল জন্ম নিয়েছে দু’দেশেই। আগামী দিনে ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন চাইছে বাংলাদেশ? রবিবার (৮ ডিসেম্বর) তার আভাস দিয়েছেন উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তারমতে, ৫ অগস্ট (হাসিনার পতন)-এর পর থেকে দু’দেশের সম্পর্কে গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। তা মেনে নিয়েই দু’দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন তৌহিদ।

শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। হাসিনার ভারতে সাময়িক আশ্রয় নেয়া নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে তাদের মনে। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় দূতাবাসে জমা দেয়া স্মারকলিপিতেও সে কথা জানিয়েছে বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টারাও এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনায় ভারত-বাংলাদেশ সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

সম্প্রতি, ত্রিপুরার আগরতলায় নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে বাংলাদেশের সহকারী দূতাবাসের ভিতরে প্রবেশ করেন এক দল মানু‌ষ। ওই ঘটনায় সাথে সাথে নিন্দা জানায় দেশটির বিদেশমন্ত্রী। এ ঘটনায় অন্তত ৭ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছেন তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে। ওই ঘটনার কিছু দিন আগেই কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের কাছেও বিক্ষোভ হয়েছে। যদিও বিক্ষোভকারীদের উপদূতাবাস থেকে কিছুটা দূরেই আটকে দেয় পুলিশ।

ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে উপদেষ্টা তৌহিদের ব্যাখ্যা, ৫ আগস্ট পর্যন্ত ভারতের সাথে এক রকম সম্পর্ক ছিল। ৫ আগস্টের পর সেটি পরিবর্তিত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এটি একটি নিয়মিত বৈঠক। অস্বাভাবিক কিছু নয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দু’দেশের বাণিজ্যের উপরেও প্রভাব পড়েছে। গত প্রায় দু’তিন মাস ধরে চলা ‘মন্দা’ বাংলাদেশকে তো প্রভাবিত করছেই, সঙ্গে স্বল্প পরিমাণে হলেও ভারতেও প্রভাব ফেলছে।

আজ সোমবার ভারত-বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন মিশ্রী। সাধারণত এই বৈঠকগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন প্রকল্পের পর্যালোচনা হয়। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবারও বাংলাদেশে গ্রেফতার সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণের প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের আশা, চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে। তাঁর আইনি অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে।