ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রায় ১৭ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর বৈধতা নিয়ে রায় জানাবে উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত শুনানি শেষ হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও শাহরিয়ার কবির।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এ আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্টজন রিট করেন।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ আগস্ট রুল দেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

রুলে বিএনপি, জামায়াত, গণফোরামসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা ও ব্যক্তি পক্ষভুক্ত হন। শুনানিতে আইনজীবী বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীতে একই সঙ্গে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টি রাখা হয়েছে; যা পরস্পরবিরোধী ও সাংঘর্ষিক। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।

২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রায় ১৭ ডিসেম্বর

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর বৈধতা নিয়ে রায় জানাবে উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত শুনানি শেষ হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও শাহরিয়ার কবির।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এ আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্টজন রিট করেন।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ আগস্ট রুল দেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

রুলে বিএনপি, জামায়াত, গণফোরামসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা ও ব্যক্তি পক্ষভুক্ত হন। শুনানিতে আইনজীবী বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীতে একই সঙ্গে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টি রাখা হয়েছে; যা পরস্পরবিরোধী ও সাংঘর্ষিক। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।

২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।