ঢাকা ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনা-পুরনো ছবি

বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাত্র-জনতার গণ-অন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রসিকিউশন টিমের এক আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সাথে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শেখ হাসিনার প্রচার হওয়া আগের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকেও নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সবশেষ ভারতের মাটি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। সেই বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়। প্রসিকিউশন বলছে, শেখ হাসিনা যে সমস্ত হেইট স্পিচ দিচ্ছেন, তা বন্ধেই এ আবেদন।

শুনানিতে ভারতে বসে টেলিফোনে বলা ও দলীয় নেতাকর্মীদের নানা অসাধু বুদ্ধি দেয়া শেখ হাসিনার একাধিক বক্তব্য উপস্থাপিত করা হয়।

এর আগে, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

চলতি বছরের ১৮ নভেম্বর, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে প্রতিবেদন। সরকার পতনের পর, শেখ হাসিনাদসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম-হত্যা-গণহত্যা’সহ দেড় শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে ট্রাইব্যুনালে। এরইমধ্যে, গ্রেফতার হয়েছেন ২৫ জন।

উল্লেখ্য, ক’দিন পরপর ফাঁস হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অডিও কল রেকর্ড। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তাকে। সেখানে ছুড়ে দিচ্ছেন নানা হুমকিও। এরই প্রেক্ষিতে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার গণ-অন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রসিকিউশন টিমের এক আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সাথে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শেখ হাসিনার প্রচার হওয়া আগের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সরাতে বিটিআরসিকেও নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সবশেষ ভারতের মাটি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। সেই বক্তব্যও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়। প্রসিকিউশন বলছে, শেখ হাসিনা যে সমস্ত হেইট স্পিচ দিচ্ছেন, তা বন্ধেই এ আবেদন।

শুনানিতে ভারতে বসে টেলিফোনে বলা ও দলীয় নেতাকর্মীদের নানা অসাধু বুদ্ধি দেয়া শেখ হাসিনার একাধিক বক্তব্য উপস্থাপিত করা হয়।

এর আগে, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

চলতি বছরের ১৮ নভেম্বর, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে প্রতিবেদন। সরকার পতনের পর, শেখ হাসিনাদসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম-হত্যা-গণহত্যা’সহ দেড় শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে ট্রাইব্যুনালে। এরইমধ্যে, গ্রেফতার হয়েছেন ২৫ জন।

উল্লেখ্য, ক’দিন পরপর ফাঁস হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অডিও কল রেকর্ড। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তাকে। সেখানে ছুড়ে দিচ্ছেন নানা হুমকিও। এরই প্রেক্ষিতে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।