ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আওয়ামী  লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টায় দিল্লি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ভারতের শাসকগোষ্ঠী বিভেদের রাজনীতি ও বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে। সংখ্যালঘু নিপীড়নের ধোঁয়া তুলে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে দিল্লি।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন। সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার, এর পরবর্তী সহিংসতা এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপেক্ষিতে এসব কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা।

বিবৃতিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে; তারা আমাদের স্টেকহোল্ডার। বাংলাদেশে চলমান গণঅভ্যুত্থানের সময় কলকাতা ও দিল্লির ছাত্ররা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনার নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভারতের এই গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষেরা বাংলাদেশের বন্ধু। তবে ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো এ ধরনের গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি চায় না। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থান এবং এর ছাত্রদের রাজনৈতিক জাগরণকে হুমকি হিসেবে দেখে। ফলে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সংখ্যালঘু নিপীড়নের ধোঁয়া তুলে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও দেশ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে দিল্লি। ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো দুই দেশের জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি চায় না।

তিনি তার পোস্টে মনে করিয়ে দেন, ভারতের স্থিতিশীলতা ও অখণ্ডতা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও অখণ্ডতার সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত তা ভুলে গেলে চলবে না।

নাহিদ ইসলাম বলেন, বিজেপি বাংলাদেশকে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা করছে, এমনটি হলে তা ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। ভারত সরকারকে শুরু থেকেই আমরা জোর দিয়ে আসছি, বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা বন্ধ করতে হবে এবং ন্যায়, ন্যায্যতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি নতুন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।

বাংলাদেশ হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পূর্ণ নাগরিক অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে পোস্টে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশবিরোধী ও মুসলিমবিরোধী রাজনীতি ভারতের জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে না বা এর ঐক্যে অবদান রাখবে না। তাই আমরা ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করে গণতন্ত্রের প্রতি সম্প্রীতি ও সম্মান বজায় রাখার আহবান জানাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘আওয়ামী  লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টায় দিল্লি’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ভারতের শাসকগোষ্ঠী বিভেদের রাজনীতি ও বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে। সংখ্যালঘু নিপীড়নের ধোঁয়া তুলে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে দিল্লি।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন। সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার, এর পরবর্তী সহিংসতা এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপেক্ষিতে এসব কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা।

বিবৃতিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে; তারা আমাদের স্টেকহোল্ডার। বাংলাদেশে চলমান গণঅভ্যুত্থানের সময় কলকাতা ও দিল্লির ছাত্ররা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনার নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভারতের এই গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষেরা বাংলাদেশের বন্ধু। তবে ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো এ ধরনের গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি চায় না। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থান এবং এর ছাত্রদের রাজনৈতিক জাগরণকে হুমকি হিসেবে দেখে। ফলে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সংখ্যালঘু নিপীড়নের ধোঁয়া তুলে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও দেশ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে দিল্লি। ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো দুই দেশের জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি চায় না।

তিনি তার পোস্টে মনে করিয়ে দেন, ভারতের স্থিতিশীলতা ও অখণ্ডতা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও অখণ্ডতার সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত তা ভুলে গেলে চলবে না।

নাহিদ ইসলাম বলেন, বিজেপি বাংলাদেশকে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা করছে, এমনটি হলে তা ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। ভারত সরকারকে শুরু থেকেই আমরা জোর দিয়ে আসছি, বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা বন্ধ করতে হবে এবং ন্যায়, ন্যায্যতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি নতুন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।

বাংলাদেশ হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পূর্ণ নাগরিক অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে পোস্টে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশবিরোধী ও মুসলিমবিরোধী রাজনীতি ভারতের জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে না বা এর ঐক্যে অবদান রাখবে না। তাই আমরা ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করে গণতন্ত্রের প্রতি সম্প্রীতি ও সম্মান বজায় রাখার আহবান জানাই।