ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব, আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন,  একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকার কারণ নেই।  বাংলাদেশের সাথে ইতিবাচক গঠনমূলক সম্পর্ক নির্মাণ করতে চায় ভারত।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি তলব করা হয়। সেখানে  বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকবে না। আমরা দুই দেশের মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে আগ্রহী।

এর আগে বিকেল ৪টার কিছু আগে প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছান। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর দপ্তরে তাকে তলব করা হয়।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়।

আগরতলার ঘটনায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডাকা হবে বিষয়টি দুপুরেই জানিয়েছিলেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেছেন, ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের (আগরতলা) হামলার ঘটনায় পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

ইন্ডিয়ার হাইকমিশনারকে তলব করা হবে। যদি তলব না করা হয়ে থাকে, হবে। আমরা প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিতে থাকতে চাই। সোমবার ( ২ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামে একটি সংগঠনের সমর্থকরা এই হামলা চালান বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনায় এক বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশ।

এতে বলা হয়, আগরতলার হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের দ্বারা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও আক্রমণের কারণে বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে ক্ষুব্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব, আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন,  একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকার কারণ নেই।  বাংলাদেশের সাথে ইতিবাচক গঠনমূলক সম্পর্ক নির্মাণ করতে চায় ভারত।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি তলব করা হয়। সেখানে  বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকবে না। আমরা দুই দেশের মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে আগ্রহী।

এর আগে বিকেল ৪টার কিছু আগে প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছান। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর দপ্তরে তাকে তলব করা হয়।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়।

আগরতলার ঘটনায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডাকা হবে বিষয়টি দুপুরেই জানিয়েছিলেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেছেন, ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের (আগরতলা) হামলার ঘটনায় পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

ইন্ডিয়ার হাইকমিশনারকে তলব করা হবে। যদি তলব না করা হয়ে থাকে, হবে। আমরা প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিতে থাকতে চাই। সোমবার ( ২ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামে একটি সংগঠনের সমর্থকরা এই হামলা চালান বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনায় এক বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশ।

এতে বলা হয়, আগরতলার হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের দ্বারা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও আক্রমণের কারণে বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে ক্ষুব্ধ।