ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে চোখ রাঙাচ্ছে শীত

আজিুল বুলু, নীলফামারী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:১২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারীতে চোখ রাঙাচ্ছে শীত। সন্ধার নামার সাথেই নামছে ঘন-কুয়াশা আর থাকছে সকাল দশটা পর্যন্ত।ঘনকুয়াশার আর বইছে হিমেল হাওয়া।কমছে তাপমাত্রার পারদ।শীতবস্ত্র অভাবে বেকায় পড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষজন।এসব মানুষজন চাতক পাঁখির মতো তাকিয়ে আছে খয়রাতি শীতবস্ত্র পাওয়ার আশায়।হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।এ জনপদে ১২থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।

হিমালয় পদদেশে অবস্থিত নীলফামারী জেলা।এর ফলে ঘনকুয়াশা আর হিম-শীতল বাতাসে কাবু হয়ে পড়ে এ জনপদে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ।এরমধ্যে গতর খেটা শীথার্থ ৩৫ শতাংশ মানুষ শীতবস্ত্র অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন কিংবা সূর্যের তাপে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।এসব শীতার্থ মানুষজনের পাশে এখনও দাঁড়ায়নি সরকাররি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিত্তবানরা।চলমান বৈরী আবহাওয়ায় বাড়ছে শীতজনিত রোাগগের প্রদুর্ভাব।এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা-সেবা নিতে দৌড়ঝাঁপ করছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে। ঘনকুয়াশার চাঁদরে ঢাকা রাস্তা-ঘাটে যানবান গুলো দুর্ঘটনা এড়াতে হেড-লাইড জ্বালিয়ে চলা-চল করছে।তার পরও ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘনা।

শুক্রবার (২৯ নবেম্বর) সকালে ভিক্ষুক নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানি ইউ¦ুনিয়নের চাড়ালকাঁটা নদী পাড়ের আব্দুস ছালাম (৬৫) বৃদ্ধা গাঁয়ে শীতবস্ত্র না থাকায় কাঁপছেন তিনি।তার হিমশীতল শরীর উষ্ণতায় সৃর্যের রোদে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।এ সময় তার সাথে কথা হয় বাংলা টাইমসের নীলফামারী প্রতিবেদকের সাথে।তিনি জানান,দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক তিনি।তার সন্তানদের সংসার চলছে কোন বেলা খেয়ে না খেয়ে। এর ফলে জিবন-জীবিকার সন্ধানে তাকেও কাঁধে নিতে হয়েছে ভিক্ষের ঝুলি।ভিক্ষা করে য়ে আয়-রোজগার হয় তাতে দু’বেলা পেটপুড়ে খেতে পায়না তারা।শীতবস্ত্র কিনবে কোথা-থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা বিত্তবানরা শীতবস্ত্র বিতরণ করলে তখন যদি পাওয়া যায় এ আশা বক্ত করেন তিনি।

নীরফামারী ২৫০ শস্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক দম্পতি আলেমা বেগম তার ৭ বছরের শিশু কন্যা রুবিনা কয়েকদিন ধরে স্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে।তার মতো আরও অসংখ্যা মা তাদের শিশু নিয়ে জরুরি বিভাগে ভির জমাচ্ছে।জরুরী বিভাগের কতব্যরত চিকিৎসকরা জানান,গত কয়েকদিন ধরে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।তবে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়জেষ্ঠরা।

ঘনকুয়াশায় কবলে পড়ে (২৫-২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে দশ টায় ডালিযা-জলঢাকা সড়কে ঝুনাগাছ চাপানি ঘাটেরপাড় নামকস্থানে মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাতে পড়ে নিহত হন পাথর ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন(৫০) একই এলাকার পেট্রোল পাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রদলের কর্মী হাবিবুর রহমান ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন।

নীরফামারী জেলা প্রশাসকের ত্রানভান্ডার থেকে এখনো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নিবলে জানান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।পাশাপাশি কোন বিত্তবান শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি।

সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া আধিদপ্তরের ইনচার্জ লোকমান হাকিম জানান,আজ (২৯ নভেম্বর) শুক্রবার ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রিী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নীলফামারীতে চোখ রাঙাচ্ছে শীত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:১২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

নীলফামারীতে চোখ রাঙাচ্ছে শীত। সন্ধার নামার সাথেই নামছে ঘন-কুয়াশা আর থাকছে সকাল দশটা পর্যন্ত।ঘনকুয়াশার আর বইছে হিমেল হাওয়া।কমছে তাপমাত্রার পারদ।শীতবস্ত্র অভাবে বেকায় পড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষজন।এসব মানুষজন চাতক পাঁখির মতো তাকিয়ে আছে খয়রাতি শীতবস্ত্র পাওয়ার আশায়।হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।এ জনপদে ১২থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।

হিমালয় পদদেশে অবস্থিত নীলফামারী জেলা।এর ফলে ঘনকুয়াশা আর হিম-শীতল বাতাসে কাবু হয়ে পড়ে এ জনপদে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ।এরমধ্যে গতর খেটা শীথার্থ ৩৫ শতাংশ মানুষ শীতবস্ত্র অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন কিংবা সূর্যের তাপে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।এসব শীতার্থ মানুষজনের পাশে এখনও দাঁড়ায়নি সরকাররি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিত্তবানরা।চলমান বৈরী আবহাওয়ায় বাড়ছে শীতজনিত রোাগগের প্রদুর্ভাব।এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা-সেবা নিতে দৌড়ঝাঁপ করছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে। ঘনকুয়াশার চাঁদরে ঢাকা রাস্তা-ঘাটে যানবান গুলো দুর্ঘটনা এড়াতে হেড-লাইড জ্বালিয়ে চলা-চল করছে।তার পরও ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘনা।

শুক্রবার (২৯ নবেম্বর) সকালে ভিক্ষুক নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানি ইউ¦ুনিয়নের চাড়ালকাঁটা নদী পাড়ের আব্দুস ছালাম (৬৫) বৃদ্ধা গাঁয়ে শীতবস্ত্র না থাকায় কাঁপছেন তিনি।তার হিমশীতল শরীর উষ্ণতায় সৃর্যের রোদে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।এ সময় তার সাথে কথা হয় বাংলা টাইমসের নীলফামারী প্রতিবেদকের সাথে।তিনি জানান,দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক তিনি।তার সন্তানদের সংসার চলছে কোন বেলা খেয়ে না খেয়ে। এর ফলে জিবন-জীবিকার সন্ধানে তাকেও কাঁধে নিতে হয়েছে ভিক্ষের ঝুলি।ভিক্ষা করে য়ে আয়-রোজগার হয় তাতে দু’বেলা পেটপুড়ে খেতে পায়না তারা।শীতবস্ত্র কিনবে কোথা-থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা বিত্তবানরা শীতবস্ত্র বিতরণ করলে তখন যদি পাওয়া যায় এ আশা বক্ত করেন তিনি।

নীরফামারী ২৫০ শস্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক দম্পতি আলেমা বেগম তার ৭ বছরের শিশু কন্যা রুবিনা কয়েকদিন ধরে স্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছে।তার মতো আরও অসংখ্যা মা তাদের শিশু নিয়ে জরুরি বিভাগে ভির জমাচ্ছে।জরুরী বিভাগের কতব্যরত চিকিৎসকরা জানান,গত কয়েকদিন ধরে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।তবে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়জেষ্ঠরা।

ঘনকুয়াশায় কবলে পড়ে (২৫-২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে দশ টায় ডালিযা-জলঢাকা সড়কে ঝুনাগাছ চাপানি ঘাটেরপাড় নামকস্থানে মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাতে পড়ে নিহত হন পাথর ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন(৫০) একই এলাকার পেট্রোল পাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রদলের কর্মী হাবিবুর রহমান ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন।

নীরফামারী জেলা প্রশাসকের ত্রানভান্ডার থেকে এখনো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নিবলে জানান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।পাশাপাশি কোন বিত্তবান শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি।

সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া আধিদপ্তরের ইনচার্জ লোকমান হাকিম জানান,আজ (২৯ নভেম্বর) শুক্রবার ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রিী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।